সাবেক প্রেমিকা শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় অতীতের আপত্তিকর বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রেমিক। এ ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না সাবেক ওই প্রেমিকা। একই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে তার লেখাপড়া। তিনি এইচএসসি-তে পড়ালেখা করছেন।
অভিযুক্ত ওই প্রেমিকের নাম শাকিব বেপারী (২২)। তিনি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর অভিযোগ, প্রায় চার বছর আগে স্কুলে যাওয়া আসা-যাওয়ার পথে শাকিব বেপারী প্রায়ই তাকে বিরক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে তিন বছর আগে পরিবারের সম্মতিতে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয় তার। সুখেই চলছিলো তার সংসার। কিন্তু হঠাৎ প্রেমিকার সংসারে সাপের বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে সাবেক প্রেমিক শাকিব বেপারী।
জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই কলেজছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় শাকিব। কিন্তু এতে রাজি হননি তিনি। পরে শাকিব তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ডামুড্যা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই কলেজছাত্রী। এরপরই রাগান্বিত হয়ে ‘এমডি শাকিব’ নামের একটি ফেসুবক আইডিতে কিছু বিশেষ মূহুর্তের আপত্তিকর ছবি ছেড়ে দেয় শাকিব।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, অনেক আগে শাকিব তার মেয়েকে বিরক্ত করতো। তবে বিয়ে দেওয়ার পরে আর কোন সমস্যা ছিলনা। সুখেই সংসার করছিলো মেয়েটি। পাশাপাশি পড়ালেখাও চলছিলো তার। কিন্তু শাকিবের এমন ঘটনার পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে তার মেয়ের জীবনে। ঘটনার পর থেকে তার মেয়ের জামাইও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি শাকিবের বিচার দাবি করে বলেন, ‘এভাবে আর যেন কোন মেয়ের জীবন নষ্ট না হয়। আমি শাকিবের বিচার দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত শাকিব বেপারী। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শাকিবের বাবা জয়নাল আবেদিন বলেন, ছেলে অপরাধী হলে তার বিচার হওয়া উচিত। তবে এ ছবি তার ছেলে ভাইরাল করেনি বলে তিনি দাবি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, হুমকির ঘটনাটি শুনে একটি সাধারণ ডায়েরি করে রাখা হয়েছিলো। এখন ভাইরালের ঘটনায় জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়া হবে। এছাড়া অভিযুক্ত শাকিবকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।