Home > বিশেষ সংবাদ > দিনে পুলিশের সোর্স, রাতে ইয়াবা ব্যবসা ও জলদস্যুতা

দিনে পুলিশের সোর্স, রাতে ইয়াবা ব্যবসা ও জলদস্যুতা

ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের সন্ত্রাসীরা। আতঙ্কিত হয়ে উঠছে উপকূলীয় সাধারণ মানুষ। কক্সবাজার জেলার উপকূলের সদর, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা থানা পুলিশের তালিকায় ৭০ শতাংশ অপরাধীর নাম থাকলেও ৩০ শতাংশ অপরাধী নানাভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইদানীং তারা নিজেরাই দল বেঁধে ইয়াবা ব্যবসা, সন্ত্রাসী ও জলদস্যুতা করার জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সূত্র জানায়, দিনে পুলিশের সোর্স, রাতে ইয়াবা ব্যবসা ও জলদস্যুতার কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সারা দেশে ইয়াবা ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও জলদস্যুদের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসিত হয়। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে আত্মগোপনে ছিল। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শুদ্ধি অভিযানে অনেকে আত্মরক্ষার জন্য দেশত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমায়। উপকূলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত জলদস্যুদের অধিকাংশ আটক ও আত্মসমর্পণ করলেও ইদানীং ১৮ থেকে ২০ জন ফের বেপরোয়া জলদস্যু নতুনভাবে সাগরে এবং উপকূলে ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য গ্যাং গঠন করেছে। আবার অনেক তালিকাভুক্ত জলদস্যু আত্মরক্ষার জন্য পুলিশের সোর্সের কাজ করছে। তারা এখন এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাসোহারা আদায় করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহেশখালী দ্বীপে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণকারী এক জলদস্যু সর্দার জানান, ইদানীং কুতুবদিয়া দ্বীপের উপকূলে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের কানা দিদার, সাহেদ, আবদু সমদ প্রকাশ পিতলা বাদশা, আবুইয়্যা, আবদুল মজিদ, আবদু শুক্কুর, দিদার (সোর্স) ছুট্টো, কৈয়ারবিলের প্রকাশ নাম লেডাইয়া, পালতু বাদশা, লেমশীখালীর ইসহাক, মানিক, বাঁশখালী উপকূলের ছনুয়ার জাহাঙ্গীর আলম, গফুর, আঙুল কাটা জব্বার, ভান্ডারী, আকতার, পেকুয়া উপকূলের রাজাখালী এলাকার জাকির, সেলিম, আরিফ, নাছিরসহ অনেকে মিলে সাগরে জলদস্যুতা করার জন্য ৮ ডিসেম্বর রাতে গোপন বৈঠক করেছে সোর্স দিদারের বাড়িতে।

তিনি আরও জানান, এসব জলদস্যু সাগরে মাছ লুট করে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট ও বাঁশখালীর শেখেরখীলের মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. দিদারুল ফেরদাউস জানান, গেল দুই বছরে অর্ধশত জলদস্যু ও শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। ইদানীং কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী এলাকায় আনাগোনা করার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক আছে।