Home > খেলাধুলা > টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বেই জার্মানির বিদায়

টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বেই জার্মানির বিদায়

সবশেষ গত ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টমাস মুলার-ক্লোসারা। তবে রাশিয়ায় পরের বিশ্বকাপে জুজু নিয়েই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল জার্মানরা। ফলে এবারের কাতার বিশ্বকাপটা ছিল জার্মানির জন্য অস্তিত্বের লড়াইয়ের। তবে মরুর বুকে বিশ্ব আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জাপানের কাছে হেরে গেছিল জার্মানরা। পরের ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের দল।

তবে শেষ ম্যাচের পরিসংখ্যানে জয় তো লাগতই, সেই সঙ্গে স্পেন-জাপানের গ্রুপের আরেক ম্যাচের ফলাফলের দিকে চেয়ে থাকা লাগত। হলোও ঠিক তেমনই এক ম্যাচ। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেও কোনোই লাভ হলো না জার্মানির। এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে স্পেন। যার ফলে ‘ই’ গ্রুপ থেকে জিতেও টানা দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

 

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দোহার আল বাইত স্টেডিয়ামে জয় ভিন্ন কোনো ফল হলে বিদায় নিশ্চিত জানা ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার সামনে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জার্মানরা। তবুও গোল আদায় করতে পারছিল না জামাল মুসিয়ালা, গুনাব্রি এবং জশুয়া কিমিচরা। তবে ম্যাচের ১০তম মিনিটে কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুনাব্রি গোল করে জার্মানিকে লিড এনে দেন।

এরপরও জার্মানরা বারবার আক্রমণ করেও একা নাভাসের কাছে পরাস্ত হয় পড়েন। প্রথমার্ধে নিশ্চিত কয়েকটি গোল বাঁধিয়ে দলকে রক্ষা করেন পিএসজির এই গোলকিপার। ফলে শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ন্যুয়ারের দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কোস্টারিকা দুর্দান্ত ফুটবল খেলে জার্মানিকে ভড়কে দেয়।

৫৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে কোস্টারিকাকে সমতায় ফেরান ইয়েলৎসিন তাজেদা। ডি-বক্সে ওয়াটসনের হেড ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করলেও হাতে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে ফিরতি সময়ে শট করে গোল আদায় করে দেন তাজেদা। এরপর ৭০তম মিনিটে আবারও গোল করেন কোস্টারিকার হুয়ান পাবলো ভার্গাস। বাতাসে ভেসে আসা বলে আলতো করে হেড করেন ভার্গাস। ম্যানুয়েল ন্যুয়ার কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল চলে যায় জার্মানির জালে।

ফলে বিশ্বকাপ থেকে জার্মানির বিদায়ের অশনিসংকেত চেপে বসে। সেই সঙ্গে আগের ম্যাচে স্পেনের হারের মুখে থাকায় কোস্টারিকার সামনে নকআউটে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ চলে আসে। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি কোস্টারিকানরা। ৭৩, ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে তিন গোল গোল হজম করে বসে তারা।

থমাস মুলারের পরিবর্তে মাঠে নেমে হাভার্টজই জোড়া গোল করে দলকে হারের মুখ থেকে জয় এনে দেন। আর শেষ গোলটি আসে নিকলাস ফুলক্রুগের পা থেকে। লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলে অফসাইডের সংকেত দিলেও ফুলক্রুগ অফসাইড ছিলেন না। তাই ভিএআর চেক করে গোল দেয়া হয় জার্মানির পক্ষে। যার ফলে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জয় পেলেও বিদায় নিতে হলো ইউরোপিয়ান জায়ান্ট জার্মানিকে।