Home > খেলাধুলা > যে কারণে মিরাজের ফোন নম্বর ডিলিট করবেন পাপন

যে কারণে মিরাজের ফোন নম্বর ডিলিট করবেন পাপন

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে টানা তিন দিন আন্দোলন করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলন শেষে গত বুধবার রাতে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের দাবি আদায় করেন সাকিব-তামিমরা। সব ঝামেলা মিটিয়ে মাঠে ফিরছেন ক্রিকেটাররা। তবে বিসিবির সঙ্গে এই বিরোধের কারণে কিছুটা ভয় ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েই গেছে। কারণ, হাসিখুশিভাবে ক্রিকেটারদের দাবি মেনে নিলেও বিষয়গুলো সহজভাবে নিতে পারেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

যার কিছুটা আভাস সেদিনের আলোচনার মধ্যেই পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। আন্দোলনরত অবস্থাতেই বোর্ড সভাপতি জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের আন্দোলন মেনে নেবেন তিনি। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বারবার ফোন দেওয়ার পরও কোনো ক্রিকেটার সভাপতির ফোন ধরেননি।

আন্দোলনে থাকায় স্বাভাবিকভাবে ফোন ধরেননি ক্রিকেটাররা। কিন্তু যখন আলোচনায় বসেন, তখন নিজের অভিমান ধরে রাখতে পারেননি পাপন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কিছু না বলতে পারলেও নিজের অভিমান জুনিয়র ক্রিকেটারদের দেখান সভাপতি। যার রেশটা গেছে ক্রিকেটার মিরাজের ওপর দিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটারের কথায়, ‘ফোন না ধরায় পাপন ভাই খুব কষ্ট পেয়েছেন। এটা আমাদেরও ঠিক হয়নি। মিরাজকে চারবার ফোন দিয়েও না পাওয়ায় তাঁর অভিমান হয়েছে। রাগে মিরাজের নম্বরও নাকি ডিলিট করে দেবেন তিনি।’

ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, প্রয়োজনের সময় বিসিবি সভাপতির কাছ থেকে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা নেন মিরাজ। অথচ বোর্ডের বিরুদ্ধে অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দেন তিনি। এমনকি পাপনের ফোনও ধরেননি এ অলরাউন্ডার।

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলার সময়ে বিসিবি বস বলে বসেন, মিরাজ, আমি তোমার জন্য কিনা করেছি! অথচ তুমি আমার ফোনই ধরনি। আজকের পর থেকে আমার ফোন থেকে তোমার নম্বর ডিলিট করে দেব আমি।

গেল সোমবার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বোর্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কম বেতনের ইস্যুতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তারা। বিসিবির কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া মিটিয়ে দেয়ার হুংকার দেন টাইগাইররা। দাবি না মানলে ক্রিকেট বয়কটের হুমকি দেন তারা।

বুধবার রাতে এ ইস্যুতে বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাকিব-তামিমরা। সেখানে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, সব দাবিই মেনে নেবে বোর্ড। এর পরই ফের ক্রিকেটে ফেরেন তারা।