Home > খেলাধুলা > ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর্জেন্টিনা বাড়ি, দেখতে মানুষের ভিড়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর্জেন্টিনা বাড়ি, দেখতে মানুষের ভিড়

দুনিয়া এখন কাঁপছে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায়। সারা বিশ্বের মতোই বাংলাদেশও মাতোয়ারা বিশ্বকাপের আনন্দে। বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন। প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা দেখাতেও কেউ কার্পণ্য করেন না।

নিজের পছন্দের দেশটির পতাকা টানাতে দেখা যায় বাসাবাড়িতে। আবার জার্সি গায়ে পছন্দের দেশটিকে সমর্থন জানান অনেক ফুটবলপ্রেমীরা।

তবে এবার বাসার ছাদে পতাকা টানিয়ে কিংবা গায়ে জার্সি পরে নয় ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক আর্জেন্টাইন ভক্ত।

প্রিয় দল আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে শহরের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি রং করেছেন আর্জেন্টাইন পতাকার আদলে। সাদা এবং আকাশি রং মিশ্রিত বাড়িটি এখন স্থানীয়দের কাছে পরিচিতি পেয়েছে আর্জেন্টিনা বাড়ি হিসেবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুল আলম খোকন ও কানিজ ফাতেমা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে রেজাউল আলম রাব্বি সবার ছোট। চলতি বছর ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় দিয়েছে সে। ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের ভক্ত সে। বিশেষ করে লিওনেল মেসির খেলা তাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।

মেসির অনেকটা অন্ধভক্ত রাব্বি। আর্জেন্টিনা দল ও মেসির প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবেই কয়েকমাস আগে নিজেদের বাড়ির রং আর্জেন্টাইন পতাকার আদলে করার জন্য বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরে সে।

পরবর্তীতে অনেকটা বাধ্য হয়েই আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়ে তোলা হয় তাদের বাড়িটি। পুরো বাড়ি আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে রং করা হলেও বাড়ির ছাদে পানির ট্যাংকটিতে আঁকা হয়েছে বাংলাদেশর পতাকা।

সম্প্রতি ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে আর্জেন্টাইন পতাকার রঙের বাড়িটি। এটি এখন স্থানীয়দের কাছে আর্জেন্টিনা বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। অনেকেই এখন বাড়িটি দেখার জন্য আসেন।

রাব্বির বাবা মাহবুবুল আলম খোকন জানান, আর্জেন্টিনার প্রতি রাব্বির এমনই ভালোবাসা- যে বাড়ির রং আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে না করলে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেবে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ছেলের ইচ্ছায় বাড়ির রং আর্জেন্টাইন পতাকার রঙে করা হয়েছে। তবে প্রিয় দলের প্রতি ছেলের এই ভালোবাসা বাবা হিসেবে তাকেও আপ্লুত করেছে বলে জানান তিনি।