Home > খেলাধুলা > নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে কাতার

নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে কাতার

চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে শুরু হবে এবারের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত টুর্নামেন্টটি দেখতে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ মরুর দেশটিতে সফর করবে। তাই ফুটবলারদের পাশাপাশি ভক্ত-সমর্থকদের নিরাপত্তায় ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজক দেশটি।

এরই অংশ হিসেবে বিশ্বকাপকে সফল করতে গোটা দেশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানোর পরিকল্পনা কাতার সরকারের। এজন্য ইতোমধ্যে কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে তারা। এমনকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাতারসহ ১৪টি দেশের নিরাপত্তা বাহিনী মহড়াও চালিয়েছে।

দেশটির স্থানীয় দৈনিক দ্য পেনিনসুলার মতে, ‘ওয়াতান’ নাম দেওয়া পাঁচ দিনের নিরাপত্তা মহড়াটি মূলত জরুরি পরিষেবাগুলির প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা পরীক্ষা করার জন্য চালানো হয়েছে।

টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা কমিটি জানায়, ওয়াতানে ৩২ হাজার সরকারি নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি ছিল ১৭ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীও। টুর্নামেন্টে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী আনছে কাতার।

আগে থেকেই তুরস্ক ঘোষনা দিয়ে রেখেছে, স্টেডিয়াম এবং হোটেলগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে কাতারে তিন হাজারের বেশি পুলিশ পাঠাবে দেশটি। এছাড়া ১০০ জন বিশেষ অপারেশন পুলিশ অফিসার, ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ এবং ৪০টি স্নিফার কুকুর পাঠাবে তারা।

নিরাপদ বিশ্বকাপ আয়োজনে দোহাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরকারি রেডিওর দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরুতে তাদের সেনারা দোহায় পৌঁছেছে। মরক্কোর সংবাদ আউটলেটলোর তথ্যমতে, টুর্নামেন্ট চলাকালে কাতারে তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করবে দেশটি।

টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে কাতারের। এছাড়া ফ্রান্সের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফরাসি পার্লামেন্ট কাতারে ২২০ জন সৈন্য মোতায়েনের ঘোষনা দিয়েছে।

বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে কাতারের রাস্তায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে দেশটিতে।