গতকাল চূড়ান্ত হয়েছে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের চূড়ান্ত সময়সূচী। আগামী ৩০ শে জুলাই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার এই সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে এখনো দেশে ফেরেনি ক্রিকেটাররা। আজ এবং আগামীকালের মধ্যেই দেশে ফিরবে ক্রিকেটাররা। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আসবেন ২২ জুলাই।
তবে এর আগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও এর আগে বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে সিরিজের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সে পথ থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ। কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয় জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দলে পাঠাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
যদিও ছুটিতে রয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ে সফরে যেতে পারছেন না আরেক অলরাউন্ডার মোঃ সাইফুদ্দিন এবং ইয়াসির আলী। তবে যতদূর জানা গেছে জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ইতিমধ্যেই দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুমতি ও পেয়ে গেছে নির্বাচকরা।
জানা গেছে আগামীকাল ২১ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বিসিবি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, “আমরা একসঙ্গে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দল ঘোষণা করব। প্রথমে যেহেতু টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তাই ২৬ জুলাই যাবে টি-টোয়েন্টি দল। আর ওয়ানডে দল দেশ ছাড়বে ৩০ জুলাই।”
এদিকে দলে কোন পরিবর্তন আসবে কিনা এ বিষয়ে কোন কিছু না বললেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফিরছেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ জিম্বাবুয়ে সফরে থাকতে পারেন। এছাড়াও বাতাসে ভাসছে ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের নাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের স্কোয়াডে থাকায় এ সিরিজে বিবেচনায় থাকছেন না সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুনরা। তবে এনামুল বিজয় ও মুনিম শাহরিয়ার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এ সিরিজেও।