Home > খেলাধুলা > ভাল খেলোয়াড় হবার অযোগ্য মুশফিক, আবারও সতীর্থের সাথে চরম দুর্ব্যবহার!
?????????????????????????????????????????????????????????

ভাল খেলোয়াড় হবার অযোগ্য মুশফিক, আবারও সতীর্থের সাথে চরম দুর্ব্যবহার!

পেসার খালেদ আহমেদের ওপর ভীষণ খেপেছেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। খেপবেন নাই–বা কেন! খুলনা–কুমিল্লা ম্যাচে রুয়েল মিয়ার বলে ডিপ ফাইন লেগে কুমিল্লার লিটন দাসের এক সহজ ক্যাচ ফেলে দিলেন যে তিনি!

লিটন তখন ১২ বল খেলে ৩২ রানে অপরাজিত। চড়াও খুলনার বোলারদের ওপর। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়ার বলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ছক্কা মারতে যান তিনি। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বলটি যায় খালেদের হাতে। কিন্তু খালেদ ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হলে মুশফিকের চেহারায় নেমে আসে রাজ্যের হতাশা। রুয়েলের পরের বলে আবার ছক্কা মেরে লিটন খুলনার হতাশা আরও বাড়িয়ে দেন।

পরের ওভারে থিসারা পেরেরার বলে শেষ পর্যন্ত মুশফিকের তালুবন্দী হন ১৭ বলে ৪১ রান করা লিটন। দারুণ ক্যাচে বিধ্বংসী লিটনকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান পেরেরা-মুশফিক জুটি। উইকেট উদ্‌যাপনের সময় বাউন্ডারি থেকে এগিয়ে আসেন হাস্যোজ্জ্বল খালেদ। মুশফিকের সঙ্গে কোলাকুলি করতে গেলে মুশফিক তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন। কিন্তু ক্যাচ হাতছাড়ার রাগ যে তখনো কমেনি মুশফিকের। মুহূর্তটি চোখ এড়ায়নি বাকি সতীর্থদের।

চোখ এড়ায়নি মাঠে উপস্থিত ব্যক্তিদেরও। দুই বিদেশি পেরেরা ও আন্দ্রে ফ্লেচারও দাঁড়িয়ে দেখলেন রাগী মুশফিকের প্রতিক্রিয়া। ক্রিকেট মাঠে মুশফিকের এমন প্রতিক্রিয়া নতুন কিছু নয়। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে নিজ দলের নাসুম আহমেদের সঙ্গে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মুশফিক। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক নাসুমকে মারার ভঙ্গি করেছিলেন।

একটি ক্যাচ নিয়ে নাসুমের ওপর সেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার জন্য তাঁর ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। যোগ হয়েছিল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।