Home > খেলাধুলা > ড্যানিশ রূপকথা থামিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

ড্যানিশ রূপকথা থামিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

ওয়েম্বলির দর্শকদের উল্লাস কানে বাজবে টিভিতে খেলা দেখলেও। মাঠের ফুটবলেও দেখা যাবে ইংল্যান্ডের আধিপত্য। তবে আবেগ মানুষকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারে, তার প্রমাণ হয়ে থাকবে ডেনমার্কের এবারের ইউরোর পারফরম্যান্স।

মাঠে তারা ভালো খেলেছে সত্যিই, তবে তার পেছনের মূল চালিকা শক্তিটা হয়ে থেকেছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। টুর্নামেন্টে ডেনমার্কের প্রথম ম্যাচেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। টানা দুই ম্যাচ হেরে ইউরো শুরু করা ড্যানিশরা পরে পৌঁছেছে সেমিফাইনাল অবধি।

তাদের সেই স্বপ্ন যাত্রা থেমেছে। থামিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার রাতে সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টির কল্যাণে পাওয়া গোলে ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা।

সেমিফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই ডেনমার্ককে চাপে রেখেছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগটা পেয়েছিল ডেনমার্কই। ১৬ মিনিটে বল ডিস্ট্রিবিউট করতে গিয়ে ভুল করে বসেন পিকফোর্ড। সে যাত্রায় অবশ্য কোনো বিপদ হয়নি।

তবে ৩০ মিনিটে পুরো ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামকে চুপসে দেন মাইকেল ডমসগার্ড। ডি বক্সের অনেক বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে জোরালো শটে জালে জড়ান তিনি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের মতো স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছু করার ছিল না ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ডের। এটিই চলতি টুর্নামেন্টে ফ্রি-কিক থেকে প্রথম গোল। এতে ভেঙে যায় ইংলিশদের জাল অক্ষত রাখার রেকর্ডও।

অবশ্য বিরতির আগেই স্বস্তি ফেরায় ইংল্যান্ড। ৩৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক স্মাইকেল। এর মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরে দলটির অধিনায়ক কায়েরের আত্মঘাতি গোলে। সাকা বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রহিম স্টার্লিংয়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার আগেই বল কায়েরের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। এরপর ডেনমার্কের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে ইংলিশরা। ইউরোতে নিজেদের প্রথম ফাইনালে যাওয়ার মিশনে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। কিন্তু কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না হ্যারি কেইনরা। দুই দলই বেশ কয়েকজন বদলি ফুটবলারকে মাঠে নামায়।