জার্মানির দেখানো পথ, ইতালির অনুশীলন শুরুর ঘোষণার পর এবার ইংল্যান্ডও সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী ৮ জুন থেকে লিগ পুনরাম্ভের পরিকল্পনা ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ)।
ইতোমধ্যে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে প্রত্যাবর্তনের রূপরেখা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রূপরেখাটা মূলত জার্মানির প্রণয়ন করেছে। ইংলিশরাও মাঠে সেটা প্রয়োগের পরিকল্পনা নিচ্ছে। অনুশীলনের নীতিমালা, ম্যাচ খেলার নিয়মাবলি, যাতায়াত, কেউ পজিটিভ হলে কী করা হবে- এসব বিষয় অনেকটা জার্মানদের মডেলের মতোই থাকছে।
এগুলোর সঙ্গে কয়েকটি নিয়ম যোগ করেছে ইংলিশরা। ছয় সপ্তাহে লিগের বাকি ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা তাদের। করোনা ঝুঁকি কমাতে খেলোয়াড়দের হোটেল ছয় সপ্তাহ লকডাউন থাকবে। এছাড়া ইনজুরির ঝুঁকি এড়াতে পাঁচজন বদলির চিন্তাভাবনা করছে তারা। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে কতজন উপস্থিত থাকতে পারবেন, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
হোটেল লকডাউন থাকবে
প্রিমিয়ার লিগের প্রায় সব বড় ক্লাবের নয়টি করে ম্যাচ বাকি। ছয় সপ্তাহে তা শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। খেলোয়াড়রা যে হোটেলগুলোতে থাকবেন সেগুলো লকডাউন থাকবে। স্বাগতিক দলের জন্য হোটেলের একটি অংশ নির্ধারিত থাকবে। তারা অন্য শহরে খেলতে গেলেও তাদের রুমগুলোতে কেউ উঠবেন না। সফরকারী দল হোটেল ছাড়লে তা সম্পূর্ণরূপে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে সংক্রমণরোধী করা হবে।
সর্বোচ্চ ৫০০ দর্শক
জার্মানি ৩০০ দর্শকের অনুমোদন দিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগেও ৩০০ দর্শক রাখার পরিকল্পনা হয়েছে, ক্ষেত্র বিশেষে ৫০০ দর্শক হতে পারে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও ম্যাচ অফিসিয়াল, মিডিয়াকর্মী ওই তিনশ’ বা পাঁচশ জনের অন্তভূক্ত। এই পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার থেকে অনুশীলন ও ৮ জুন লিগ শুরুর পরিকল্পনা এফএ কর্তৃপক্ষের। যদিও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
পাঁচজন বদলি খেলোয়াড়
করোনা ঝুঁকি নিয়েই খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্লাবগুলো। ছয় সপ্তাহে নয়টি ম্যাচ খেলায় খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকছে। চোটের আশঙ্কা কমাতে লিগের বাকি ম্যাচগুলোতে পাঁচ বদলি খেলোয়াড়ের নিয়মের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। ফিফা অনুমোদন দেবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।