প্রমোদতরী এখন যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকূপ। সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা বাড়ছে জাপান তীরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রী ও ক্রুদের। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জাহাজটির ক্রুসহ প্রায় সাড়ে ৪শ’ মানুষই এখন প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে আছেন ৪০ মার্কিনি, ২৭ ফিলিপিনো এবং ২ ভারতীয়।
চীনে একদিনে প্রাণ গেছে ১০৫ জনের। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৭০ জনে। আক্রান্ত ৭০ হাজারেরও বেশি। তবে এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের গুজবে কান না দিতে এবং চীন-সিঙ্গাপুর ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে আইইডিসিআর।
জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ অবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজার জন্মদিনের আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম স্থগিত করা হয়েছে।’
চীনে নিহতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার বিপাকে পড়েছে চীনে থাকা অর্ধেকের বেশি মার্কিন কোম্পানি। মিলছে না প্রয়োজনীয় শ্রমিকও। অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের সার্বিক বিক্রি নেমে গেছে অর্ধেকে। স্থানীয় পণ্য উৎপাদন প্রায় শূন্যের কোঠায়। নিত্যপণ্য বিক্রি গেলো দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন মুখপাত্র মিং ফেং বলেন, নিহতদের মধ্যে একশই হুবেই প্রদেশে। নতুন করে ২ হাজার ৪৮ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১০ হাজার ৮শ’ ৪৪ জন সুস্থ্ হয়ে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় দেড় লাখ মানুষকে নজরদারিতে রয়েছেন।
আর ৩০ দেশে আক্রান্ত ৫শ ছুঁইছুঁই। এর বেশিরভাগই জাপান, ফিলিপাইন, হংকং, তাইওয়ান এবং ফ্রান্সে। হুবেই প্রদেশে থাকা পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ইসলামাবাদে। কোয়ারেন্টাইন অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১শ’ জার্মান। চীনের বাইরে ফ্রান্স, হংকং, ফিলিপাইন এবং জাপানে ৪ জন মারা গেছেন।
মানুষকে গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছে আইইডিসিআর। একইসঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চীন-সিঙ্গাপুর ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের এ দুর্যোগের সময়ও বাংলাদেশ-চীন সর্ম্পক আগের মতো দৃঢ় থাকবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। প্রেসক্লাবে কূটনীতিক রিপোর্টারদের সংগঠন-ডিক্যাবের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।
কভিড-নাইনটিনের বিরুদ্ধে চীনা গবেষকদের নিরন্তর পরিশ্রম করে যাওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেছে দি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব নিউরো সার্জিক্যাল সোসাইটিস।