রাত হলেই বাড়ি থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হতে চান না গ্রামবাসীরা। অন্ধকারে নাকি পিছু নেয় বাচ্চা ভূত। শিশুদের নাকি আরও বেশি পছন্দ সেই আত্মার। সমবয়সি দেখলেই খেলতে চায়।
ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কল্যাণী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভুট্টা বাজার এলাকার। এমন ঘটনায় কুপোকাত গ্রামবাসীরা। কচি গলায় নিশির ডাক নাকি গভীর রাতে প্রায়ই শোনা যায় গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। ভয়ে দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখেন তারা।
ভূতের হানা শুরু হয়েছে ঠিক এক সপ্তাহ আগে থেকে। গ্রামের বয়স্কদের দাবি, ১৩ বছরের মেয়ে সোনির মৃত্যুর পর থেকেই নাকি এই ভূতুড়ে ব্যাপার শুরু হয়েছে গ্রামে। ভূত দেখার দাবি যারা করেছেন, তাদের কথামতো ভূতের বাচ্চার চেহারা গ্রামের সোনির চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে। এমনকি, সোনির পরিবারেরও দাবি, তাদের বাড়ির মেয়ে মৃত্যুর পরে আবার ফিরে এসেছে গ্রামে।
মৃ’ত কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রোববার রাতে সাপে কাটে সোনিকে। হাসপাতালের বদলে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়াই ঠিক বলে মনে করেছিলেন সোনির বাবা-মা। ঘণ্টা তিনেক ওঝার ঝাঁড়ফুকে কিশোরীর শরীরের আরো অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহুরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিষ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেহে। মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃ’তদেহ সৎকারের বদলে সেটি বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার আমলেকাতে। কিশোরীর পরিবারের বিশ্বাস ছিল সেখানকার এক পীঠস্থানে পূজা দিলে নাকি মৃ’ত মেয়ে আবার বেঁচে উঠবে। শেষে দেহে পচন ধরতে শুরু করায়, ফের গ্রামে ফিরে আসে সোনির পরিবার। দেহ সমাধি দেয়া হয়।
গ্রামবাসীদের ধারণা এরপর থেকেই নাকি কিশোরীর অতৃপ্তআত্মা গ্রামে ঘুরেফিরে বেড়ায়। এক গ্রামবাসীর দাবি, আমার বাড়ির ছেলেমেয়ের সঙ্গে খেলতে আসত ওই মেয়েটির আত্মা। সবাইকে মেরে ফেলবে।