Home > খেলাধুলা > এখন কেরাণীগঞ্জে স্টিলের ব্যবসা করছেন কিংবদন্তি স্পিনার রফিক

এখন কেরাণীগঞ্জে স্টিলের ব্যবসা করছেন কিংবদন্তি স্পিনার রফিক

এক সময় বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্পিনার ছিলেন তিনি। তাকে দেখেই তরুণ খেলোয়াড়রা স্পিনার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হতো। সে কারণে এক সময় বাংলাদেশের স্পিনারদের পাইপলাইন বেশ শক্ত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রফিক যেন দূরের বাতিঘর হয়ে গেলেন। ২০০৮ সালে অবসর নেওয়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক সময়কার কিংবদন্তি এই স্পিনারকে বোর্ডও খুব একটা ব্যবহার করেনি। রফিকের সঙ্গে যারা খেলেছেন, তারা এখন বোর্ডে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ রফিক নেই বোর্ডের কোনো কার্যক্রমেই। সে নিয়ে তার ক্ষোভও রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষোভটুকু বাদ দিলে বেশ ভালো আছেন তিনি। ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালে খেলতে রফিক এখন কক্সবাজারে। এখানেই দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত, ক্রিকেট নিয়ে তার পরিকল্পনা, ব্যক্তিজীবন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্রীড়া প্রতিবেদক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন টেস্টে ১০০ এবং ওয়ানডেতে ১২৫ উইকেট পাওয়া মোহাম্মদ রফিক। তার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :

 

প্রশ্ন : ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল কেমন উপভোগ করছেন?
মোহাম্মদ রফিক : আমরা ক্রিকেট খেলাটাকে বরাবরই উপভোগ করি। আসলে কী, মাঠের বাইরে বসে খেলা দেখলে একরকম অনুভূতি হয়, আবার মাঠে খেললে অন্যরকম অনুভূতি হয়। আসলে এটা একটা মিলনমেলা হলেও এখানে কিন্তু এক প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিদ্যমান। আমি চাই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা সব সময় ক্রিকেটে থাকুক। গেল বছরও খেলেছি। এবার খেলছি। খুব উপভোগ করছি।

প্রশ্ন : এই কার্নিভালেও কি প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা অনুভব করতে পারেন?
মোহাম্মদ রফিক : অবশ্যই অনুভব করি। এখানে কিন্তু হার-জিত আছে। একটা ট্রফি আছে। সব দলই চাইবে ওই ট্রফিটা ছুঁতে। সে কারণে অটোমেটিক্যালি প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা চলে আসছে।

প্রশ্ন : মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের ভবিষ্যত কেমন বলে আপনার মনে হয়?
মোহাম্মদ রফিক : ভবিষ্যত অবশ্যই ভালো। এটা এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট হয়ে উঠতে পারে। এখানে কারা খেলছে? যারা এক সময় দেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিল। এখনো তারা অনেকের কাছে জনপ্রিয়। তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটের লিজেন্ড। তবে আয়োজক কমিটিকে অনুরোধ করব আরো একটু ভালো সময়ে যেন এই টুর্নামেন্টটা আয়োজন করা হয়। এটাকে নিয়ে আর একটু প্রচার-প্রচারণা হতে পারত। একটু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে, টিভিতে অ্যাড দিলে হয়তো এবারও অনেক দর্শক এখানে খেলা দেখতে আসত। টুর্নামেন্টটার পরিচিতি বাড়ত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়লে, অনেক দর্শক আসলে, টুর্নামেন্টটা কিন্তু ভিন্ন মাত্রা পেতে পারত।