Home > বিশেষ সংবাদ > ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যার বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যার বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রীর হাতে খুন হলেন স্বামী স্কুল শিক্ষক উজ্জ্বল চৌধুরী। স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জবানবন্দীতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তার স্ত্রী মনি বেগম।

তিনি জানান, অভাব-অনটনে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। সেই জেরেই স্বামীকে হত্যা করেন তিনি। আর এতে সাহায্য করেছে তার চাচাতো ভাই।

নেত্রকোনার এসপি মো. আকবর আলী মুনসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসপি জানান, সন্দেহ প্রবণতাকে কেন্দ্র করে তাদের সংসারে প্রায়ই কলহ ও ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। ২৭ জানুযারি সকালে কোনাপাড়া থেকে উজ্জ্বল চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গলে তার মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ উজ্জ্বলের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালকসহ কয়েকজনকে ওইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরদিন ২৮ জানুয়ারি স্ত্রী মনি বেগম ও তার চাচাতো ভাই আনোয়ারুল ইসলাম জয়কে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে যায় এবং আলামত উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন স্ত্রী ও ভাই।

মনি বেগম জানান, তার স্বামী বিভিন্ন ভাবে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় সংসারে অভাব অনটন ছিল। আনুমানিক এক বছর আগে ঝগড়া বিবাদের রেশ ধরে মনি বেগম তার দুই সন্তানসহ নেত্রকোনার কোনাপাড়ায় বাবার বাড়িতে চলে আসেন। হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন আগে লম্বা ছুটিতে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন উজ্জ্বল। ২৬ জানুয়ারি মনি বেগম পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার বাবার বাড়িতে স্পিডের সঙ্গে চারটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামী উজ্জ্বল চৌধুরীকে পান করায়। সন্ধ্যার দিকে ঝগড়া বিবাদের কারণে উজ্জ্বল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে মনি বেগম মোবাইলে উজ্জ্বলকে টাকা দেবে বলে ওই জঙ্গলে আসতে বলেন। সেখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী মনি বেগমের চাচাতো ভাই আনোয়ারুল ইসলাম জয় বাইসাইকেলে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করায় ফলে উজ্জ্বল তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে মনি ও তার চাচাতো ভাই হাত, পা ও মুখ মাফলার দিয়ে বেঁধে চাদরের সাহায্যে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং মরদেহ টেনে জঙ্গলের রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।