মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক চির প্রতিদ্ব’ন্দ্বী সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে চায় ইরান। বুধবার প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি বলেন, তেহরান ও তার আঞ্চলিক প্রতিদ্ব’ন্দ্বী সৌদি আরবের উচিত সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওয়ায়েজি বলেন, ইরান ও তার প্রতিবেশী সৌদি আরবের সম্পর্ক তেহরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। তেহরান ও রিয়াদ তাদের স’ম’স্যা সমাধানে কাজ করা উচিত। কয়েক দশক ধরে ইরান ও সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া ও ইয়েমেনে ছায়া যু’দ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি আয়োজিত এক অধিবেশনে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ধ্বং’সা’ত্মক কার্যক্রমের লাগাম ধরতে দেশটির সরকারের ওপর চা’প প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি ইরানকে বিশ্বের সন্ত্রা’সবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রা’সবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের বনিবনা হয় না। ১৯৭৯ সাল থেকেই ইরানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু ধ্বং’স ও মৃ’ত্যু ছাড়া কিছুই পাইনি। ইরান সরকার অভ্য’ন্তরীণ বিষয়ে হ’স্তক্ষে’প নীতিতে বিশ্বাসী বলেও মন্তব্য করে জুবায়ের বলেন, ইরান যাতে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়; তাই দেশটির বি’রু’দ্ধে চা’প প্রয়োগ অব্যাহ’ত রাখতে হবে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ২০১৬ সালে ইরানের সম্মানিত শিয়া আলেম শেখ নিমর আল নিমরের মৃ’ত্যুদ’ণ্ড কার্যকর করার পরে বিক্ষো’ভকারীরা তেহরানের মিশনগুলোতে হা’মলা চালায়। এরপর থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরান তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছে’দ করে। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তে’জনা দীর্ঘদিনের, কিন্তু এবছর সেই উত্তে’জনা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।