Home > খেলাধুলা > বিয়ের ১৫ দিন পরই বাংলাদেশি ফুটবলারের প্রেমালাপ ফাঁস

বিয়ের ১৫ দিন পরই বাংলাদেশি ফুটবলারের প্রেমালাপ ফাঁস

বিয়ে করেছেন প্রায় ১৫ দিন হবে। তারই মাঝে ফাঁস হলো প্রেমালাপ। কী বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ, এটাই সত্য। বলছি, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কথা।

ক’দিন আগে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন জামাল। শুরুর দিকে স্ত্রী’র নাম পরিচয় কিছুই জানাননি। তবে দেরিতে হলেও বলেছেন সবকিছু। কেবল নাম পরিচয় নয়, শুনিয়েছেন ভালোবাসার গল্পটা। সেই সাথে স্ত্রী তাতিয়ানার সঙ্গে প্রেমালাপের কিছু উদাহরণও টেনেছেন জামাল।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রথম দেখাতেই আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। একদিন বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনির চাচা মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন আমার বন্ধুর সুন্দরী এক মেয়ে আছে। তোমার ভালো লাগতে পারে। এরপর ফোনে টুকে রাখলাম ওর নাম্বার। হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজতে গিয়ে যখন প্রোফাইল পিকচারে চোখ পড়ে তখনই আমি ওকে ভালোবেসে ফেলি।’

বাকি পথটা ছিল সার্থক প্রেমের মতোই। যেভাবে এক একটা ধাপ পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এ নিয়ে জামালের ভাষ্য, ‘একদিন আমি তাকে বললাম, আমরা কি দেখা করতে পারি? সে উত্তরে বললো ‘হ্যাঁ। এরপরই আমি ঢাকা থেকে ডেনমার্কের বিমান ধরি। সেখান থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিয়ে জার্মানিতে ওর সঙ্গে দেখা করি।’

৮ আগস্ট ২০১৯, জার্মানির এক কফি হাউসে মুখোমুখি বসে খানিকটা লজ্জাই পেয়ে যান জামাল। তবে সেই রেষ কাটিয়ে সাহস করেই তাতিয়ানাকে বলে ফেলেন আই লাভ ইউ, ‘ইউরোপে ওটাই আমার প্রথম কোনো বাংলাদেশি মেয়ের সঙ্গে বসা। খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম, নার্ভাস লাগছিল। সামনাসামনি সেদিনই প্রথম ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়া। এরপর তো সবকিছুই দ্রুতই ঘটে গেছে।’

তাতিয়ানার রূপের প্রশংসা না করেও থাকতে পারলেন না জামাল, ‘ও তো খুবই সুন্দর! বুদ্ধিমান, অনেক স্মার্ট, দেখতে ভালো, কম্পিউটার সম্পর্কে সব জানে, আমার চেয়ে ভালো বাংলা বলতে পারে।’

উল্লেখ্য, জামালের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। ফুটবলের হাতেখড়িও হয় সেখানে। তবে শিকড়ের টান ভোলেননি। ২০১১ সালে বাংলাদেশে আসেন। এরপর নাম লেখান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে।