Home > খেলাধুলা > বর্ষসেরা মুসলিম ব্যক্তিত্ব ওজিল

বর্ষসেরা মুসলিম ব্যক্তিত্ব ওজিল

২০১৯ সালের সেরা মুসলিম ব্যক্তিত্বের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির সাবেক তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল। আর্সেনালের হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া তুর্কি বংশোদ্ভূত সেরা এই মুসলিম ফুটবলারকে সেরা ব্যক্তিত্ত্বের সারিতে রেখেছে নাইজেরিয়ার একটি ইসলামপন্থী পত্রিকা।

উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের অমানবিক নির্যাতনে মুসলিম উম্মাহর নীরবতায় হতাশ হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পূর্ব তুর্কিস্তানকে মুসলিম উম্মাহর ‘রক্তের মিনার’ আ

খ্যা দিয়ে ওজিল লিখেছিলেন, মুসলিম ঘর থেকে পুরুষদের সেনা ছাউনিতে বন্দি করে রেখে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একটি মেয়েকে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে একজন কমিউনিস্ট পুরুষের সঙ্গে। প্রতিটি পরিবারেই একজন কমিউনিস্ট এই মিশন বাস্তবায়ন করছে চীন সরকার।

চীনের উইঘুর মুসলিমদের ‘নির্যাতনের প্রতিরোধকারী যোদ্ধা’ বলে প্রশংসা করেন এবং চীনের কর্তৃপক্ষ ও উইঘুরদের পক্ষ না নেয়া মুসলিমদের সমালোচনা করে লিখেছিলেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমসমূহ উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের অমানবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরার পরও ইসলামি বিশ্ব এ নিয়ে ভাবছে না, কোনো প্রতিবাদও জানাচ্ছে না।

মুসলিমবিশ্বের এই নীরবতায় অবাক হয়ে টুইটে আরও লিখেছিলেন, পূর্ব তুর্কিস্তানে কোরআন আগুনে জ্বালানো হচ্ছে, মসজিদে তালা দেয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, একে একে হত্যা করা হচ্ছে ওলামায়ে কেরামকে এবং যুবকদের বন্দি করে দাসত্বের জীবনের সম্মুখীন করা হচ্ছে।

উইঘুর মুসলিমদের জন্য দোয়া করে ওজিল লিখেছেন, হে মহান প্রতিপালক! পূর্ব তুর্কিস্তানে আমাদের উইঘুর ভাইদের সঙ্গে থাক। আল্লাহ চক্রান্তকারীদের জন্য উত্তম প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

গত বছরের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল তার টুইটারে শোক প্রকাশ করে লিখেছিলেন, নিউজিল্যান্ডে যা ঘটেছে তা দেখা সত্যিই দুঃখজনক। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারের প্রতি আমার ভালবাসা রইল।

নাইজেরিয়ার ওই সংবাদমাধ্যমটি তুরস্কের প্রেসিডন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানকে ‘বিশ্ব মুসলিম ব্যক্তিত্ব ২০১৯ সাল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোয় তাকে এই খেতাব দেয়া হয়েছে বলে ওই পত্রিকাটির দাবি।

বিশ্ব মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় আরও রয়েছেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারো।