কিশোরী মরিয়ম বেগম (১২) আত্মহত্যা করেছে। জানা যায় ঐ কিশোরীর বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের মোল্লা পাড়া গ্রামে। স্থানীয় ভাটাপুকুরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশুনা করত মরিয়ম। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরীর মা এর মা মর্জিনা বেগম এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি জানান, পাশের বাড়ির আজিত আলীর কুড়ি বছর বয়সী পলাশ এর সাথে গত তিন মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরো বলেন, সোমবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি পলাশ ও মরিয়ম বিছানায় শুয়ে আছে। এ নিয়ে মরিয়মকে শুধু উচ্চস্বরে কথা বলেছি কিছুক্ষণ পর দেখি মরিয়ম ঘরের পাশে জাম্বুরা গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। কার কারণে আত্মহত্যা করলো মরিয়ম এমন প্রশ্নের জবাবে মর্জিনা বেগম জানায় পলাশ এর কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এছাড়াও মরিয়মের সাথে পলাশ সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেশীরা সবাই জানে। রবিবার রাতেই সুযোগ পেয়ে পলাশ মরিয়ম এর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছিল। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মরিয়ম এর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি তদন্ত জামাল হোসেন জানায় সোমবার সকাল সাতটার সময় ঐ কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং প্রথমেই একটি অপমৃত্যু মামলা সদর থানায় রেকর্ড হয়।
এরপর কিশোরীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে সকাল ৮.৩৫ মিনিটের দিকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে আজিত আলীর ছেলে ধর্ষক পলাশ (২০) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের এর পর পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ সোমবার দুপুরেই ঐ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।