Home > আন্তর্জাতিক > কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সোলেইমানিকে শেষ শ্রদ্ধা, অঝোরে কাঁদলেন খামেনি

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সোলেইমানিকে শেষ শ্রদ্ধা, অঝোরে কাঁদলেন খামেনি

জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা বা ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি। এ সময় উপস্থিত জনতার অশ্রুধারা সিক্ত হন সোলেইমানি।

তিনিই সোমবার ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে কুদস ফোর্সের নিহ’ত কমা’ন্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সঙ্গে নিহ’ত অন্যদের জানাজা পড়ান।

এ সময় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় হাউমাউ করে কাঁদেন উপস্থিত জনতা। জানাজা শেষে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই শেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুরু হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই তেহরানের রাস্তায় নামে শো’কা’র্ত জনতার ঢল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষ’ম’তাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।

 

জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলেইমানির ছবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার ওপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং ‘আমেরিকার মৃ’ত্যু’ বলে স্লো’গা’ন দিতে থাকে।

সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁ’শি’য়ার করে বলেছেন, এই হ’ত্যাকা’ণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে। তিনি বলেন, পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শা’হা’দাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।

সোমবারের জানাজার পর, জেনারেল সোলাইমানির ম’রদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দা’ফ’ন করা হবে।

তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে। এই এলাকার ওপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোং’রা হাত কে’টে ফেলা হবে, সেদিনই তার র’ক্তের ব’দ’লা পূরণ হবে। সূত্র : তেহরান টাইমস