Home > খেলাধুলা > ৪২ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন হাথুরুসিংহে

৪২ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন হাথুরুসিংহে

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নির্বাচকের ভূমিকায়ও ছিলেন এই লঙ্কান কোচ। বিসিবিতে ছিলো তার আধিপত্য। তার কথা এবং ইচ্ছা অনুযায়ী হতো প্রায় সবকিছু। এতকিছুর পরও দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরপরই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান মেয়াদ ফুরানোর আগেই। এবার লঙ্কান বোর্ড তাকে চাকরিচ্যূত করলো মেয়াদ পেরোবার আগেই।

এরই প্রেক্ষিতে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দাবি করেছেন লাসিথ মালিঙ্গাদের এই সাবেক প্রধান কোচ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডের সচিব মোহন ডি সিলভা বলেছেন, ‘তিনি (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) আমাদের কাছে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছেন। তিনি একটি চিঠি লিখে এটি জানিয়েছেন।’

হাথুরুসিংহের দাবি সম্পর্কে পূর্নাঙ্গরূপে জানা যায়নি। তবে শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় দৈনিক সানডে আইল্যান্ড জানিয়েছে হাথুরুসিংহে তার চুক্তির বাকি থাকা ১৮ মাসের বেতন চেয়েছে। হাথুরুসিংহে এটাও বলেছেন যে তাকে ভুলভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবার কারণে আন্তর্জাতিক কোচ হিসাবে তার ইমেজ সংকট হয়েছে।

বেতন ও ক্ষতিপূরণ মিলিয়েই তিনি ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছেন। তবে লঙ্কান বোর্ড ক্ষতিপূরণ হিসাবে কেবল ৬ মাসের বেতন দিতে রাজি। দাবি না মানলে আইনী ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাথুরুসিংহে।

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দল ভালো করতে পারেনি, তারা টুর্নামেন্টে ৬ষ্ঠ দল হয়ে শেষ করে। এরপরেই হাথুরুসিংহে ও তার সহকারীদের ছাটাই করার প্রক্রিয়া শুরু করে লঙ্কান বোর্ড। তখনকার লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো জোর দিয়ে বলেন, হাথুরুসিংহেকে বেশি অর্থ প্রদান করা হয় এবং তিনি সাফল্য এনে দিতে পারছেন না। তার দাবি ছিল এর চেয়ে অর্ধেক বেতনে বিদেশি কোন কোচ নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।

মাসিক ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও সাথে অন্যান্য সুবিধাদি দিয়ে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়োগ দেয়। সবমিলে প্রতি মাসে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার জমা হতো হাথুরুসিংহের একাউন্টে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা ছিল তার দায়িত্ব। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) দাবি এই ৬০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েই তারা পূর্ণাঙ্গ কোচিং স্টাফের বেতন দিতে পারছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থারকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। সাবেক জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার গ্রান্ট ফ্লাওয়ারকে ব্যাটিং কোচ, অজি ডেভিড সাকারকে বোলিং কোচ ও শেন ম্যাকডেরমটকে ফিল্ডিং কোচ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।