Home > জাতীয় > সারাদেশ > মেয়েদের পড়াশোনা ৫ম শ্রেণির বেশি নয়: আহমদ শফি

মেয়েদের পড়াশোনা ৫ম শ্রেণির বেশি নয়: আহমদ শফি

হেফাজতে ইসলামের আমির ও দারুল ইসলাম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, দেশে সহশিক্ষার কারণে অনেক গুনাহ হচ্ছে। এই কারণে দেশে শান্তি নেই। সহশিক্ষার কারণে দেশে শান্তি নয়, অশান্তিই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহিলাদের ৪র্থ অথবা ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লে হয়ে যাবে।

শুক্রবার বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য তিনি আরো বলেন, ‘আমি সহশিক্ষার বিপক্ষে বলেছি কিন্তু অনেকে না বুঝে আমাকে নিয়ে বদনামি করছে। তারা বলছে যে মৌলভী শফি মেয়েদেরকে লেখাপড়া করার জন্য বাধা দিচ্ছেন। আমি মেয়েদের লেখাপড়ায় বাধা দিচ্ছি না। আমি ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে লেখাপড়ার বিপক্ষে বলছি।’

তিনি বলেন, মহিলাদের কাজ রান্নাঘরে। তাদের এরকম উচ্চশিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই। পড়ানোর প্রয়োজন হলে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মহিলা শিক্ষক দিয়ে মহিলাদের শিক্ষাদান এবং একইভাবে পুরুষদের জন্য পুরুষ শিক্ষক দিয়ে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা যেতে পারে।

পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মাস্টাররাও ছাত্রীদের সঙ্গে কুকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। সহশিক্ষায় মেয়েদের পোশাকও অনেকটা ছেলেদের মতো। সেখানে ছেলে-মেয়ে বন্ধুত্ব করছে, ঘোরাফেরা করছে- আরো কি করছে তা আমার আর বলার দরকার নেই। এই সহশিক্ষার মাধ্যমে যে যেনা হচ্ছে তাতে করে আপনাদের (অভিভাবক) ব্যবসায় কিভাবে উন্নতি হবে? সহশিক্ষার মাধ্যমে দেশে যে অনেক গুনাহ হচ্ছে, মহান আল্লাহ’র নাফরমানি হচ্ছে-আমি শুধু এই কথাই বলেছি। অথচ পত্রিকায় আমার নামে অন্যটা লিখে বদনামি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ মেয়েরা বোরকা পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় না। তারা বোরকা ছিঁড়ে ফেলে। এত বড় গুনাহ যে দেশে চলছে তাতে দেশে শান্তি না-কি অশান্তি আসবে? অথচ আপনারা এগুলো নিয়ে কিছু বলছেন না।’

আল্লামা শফি উপস্থিত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাবধান করে বলেন, ‘স্কুলের ছেলেরা তোমরা আমার কাছে আসো, আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেব। আমার নামে বদনামি করে যা ইচ্ছে তা লিখে দিও না। সাবধান, সাবধান।’

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা আরশাদ মাদানীর সাহেবজাদা মাওলানা আযহারুল হাসান মাদানী। অন্যান্যদের মধ্যে জামিআর সিনিয়র মুহাদ্দিস ও সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী জসিমুদ্দীন, সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা আনাস মাদানী ও মাওলানা নুরূল ইসলাম জাদীদ হযরত মাওলানা আযহারুল হাসান মাদানী (ভারত), হযরত মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুস সালাম দা.বা., হযরত মাওলানা শেখ আহমদ দা.বা., হযরত মাওলানা মুফতী কিফায়াতুল্লাহ দা.বা., হযরত মাওলানা সাজেদুর রহমান দা.বা., হযরত মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ দা.বা, হযরত মাওলানা হাফেয নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আব্দুল বাছেত খান , হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান দা.বা., হযরত মাওলানা লোকমান দা.বা., হযরত মাওলানা নোমান দা.বা., হযরত মাওলানা সালাহ উদ্দীন দা.বা., হযরত মাওলানা মুফতী শামসুদ্দীন জিয়া দা.বা., হযরত মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন দা.বা., হযরত মাওলানা সলীম উল্লাহ দা.বা., হযরত মাওলানা মুফতী আহমুদুল্লাহ দা.বা, হযরত মাওলানা মুফতী মাহমুদুল হাসান দা.বা, হযরত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হযরত মাওলানা আযীযুল হক আলমাদানী, মওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী দা.বা., হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া দা.বা., মাওলানা আবু আহমদ দা.বা., মুফতী হুমায়ুন কবীর দা.বা., মাওলানা ফোরকান আহমদ দা.বা., ড. নূরুল আবসার দা.বা., হযরত মাওলানা নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা মুফতী নূরুল্লাহ দা.বা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।