Home > ধর্ম > বুয়েটের সেই নাস্তিক ছেলেটির স্বপ্ন এখন মানুষকে জান্নাতে নেয়া !

বুয়েটের সেই নাস্তিক ছেলেটির স্বপ্ন এখন মানুষকে জান্নাতে নেয়া !

ছেলেটির স্বপ্ন মানুষকে জান্নাতে নেয়া- মাহমুদুল হাসান সোহাগ। দাঁড়ি-টুপিওয়ালা এই ভদ্রলোক এক সময় নাস্তিক ছিলেন। একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আজ তিনি একজন পাক্কা মুমিন হয়েছেন।

বাংলাদেশের লাখো তরুণের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে EEE তে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে যিনি হয়েছেন একাধারে গবেষক ও সফল উদ্যোক্তা। উদ্ভাস উন্মেষ শিক্ষা পরিবারের সফল প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বুকশপ rokomari.com এর। বাংলাদেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক স্কুল অন্যরকম পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই; যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আয়মান সাদিক তৈরি করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন স্কুল ‘টেন মিনিট স্কুল’।

তিনি একাধারে প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিঃ, টেকশপ বাংলাদেশ লিঃ, অন্যরকম সফটওয়্যার লিঃ, অন্যরকম প্রকাশনী লিঃ, অন্যরকম সল্যুশনস লিঃ, অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস লিঃ, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিঃ এর মতো সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর।

তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড-এর একাডেমিক কাউন্সিলরও ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশে প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন(EVM) তৈরি করেছেন। যার ঝুলিতে আছে দেশ-বিদেশের অনেকগুলো পুরস্কার ও সম্মাননাও। আমাদের দৃষ্টিতে একজন সফল মানুষ উনি।

কিন্তু উনাকে যখন উনার জীবনের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলেন আয়মান সাদিক, উনি কি উত্তর দিলেন, জানেন? উনার জীবনের লক্ষ্য হলো, “যতো বেশি সংখ্যক মানুষকে নিয়ে জান্নাতে যাওয়া যায়।” এই মানুষটাই আগে ছিলেন নাস্তিক, সেকুলার।

সেই মানুষটা আমূলে বদলে হয়ে গেলেন একজন মুসলিম; একজন পাক্কা প্র্যাকটিসিং মুসলিম। আমাদের তথাকথিত সফলতার সংজ্ঞায় যিনি একজন অন্যতম সফল মানুষ তিনিই কিনা খুঁজছেন অন্য সফলতা! হ্যাঁ, ঠিকই তো।

উনি পেয়েছেন উনার রব; আমাদের সবার রব, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার হিদায়াত। তাই তিনি ছুটে চলেছেন চির সফলতার দিকে… “সুতরাং যাদেরকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে নিশ্চই তারাই সফলকাম।

আর দুনিয়ার জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়।” [সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫]

-উন্মেষ শিক্ষাবিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তার প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে তাই একটুখানি লেখনী।

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বি’ক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাজধানী নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বি’ক্ষোভের সময় পুলিশের লা’ঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় সারাদেশে ছাত্র বি’ক্ষোভ শুরু হয়েছে।

দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বি’ক্ষোভ দেশের অন্যান্য শহর ও ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে নেমে এসে বি’ক্ষোভ শুরু করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার পর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর নাজমা আক্তারও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পুলিশকে অনুমতি কে দিয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চান তিনি। বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে কেন প্রবেশ করল পুলিশ? শিক্ষার্থীদের ওপর লা’ঠিচার্য কেন করা হলো, সেসব জানতে চাওয়ার পরেও থেমে থাকেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেনি ভারতের পুলিশ। সেটাও আবার কোনো নারী ভাইস চ্যান্সেলর! এখন যুতসই কোনো জবাবও দিতে পারছে না পুলিশ।

আইপিএস কর্মকর্তারা একেকজন একেক কথা বলছেন। একজন গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন, আসলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চায়নি, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে গিয়ে দৌড়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হঠাৎ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে।

তবে উপাচার্য নাজমা আক্তারের কাছে এমন উত্তর গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং তিনি আরো ক্ষি’প্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গেছেন। দায়ীদের তিনি কাঠগড়ায় নেবেনই বলে জানতে চান, কেন ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা হলো?