স্ত্রী উদ্বিগ্ন কণ্ঠে স্বামীকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন, ‘তুমি কি দুর্ঘটনায় পড়েছো?’ জবাব এসেছিল, ‘না তো! কেন?’ স্ত্রী তখন বলেছিলেন, ‘বাড়িতে এক জন এসে বলছেন, তুমি নাকি দুর্ঘটনায় পড়েছো। তাই ফোন করলাম।’
দু’জনের মধ্যে ফোনে এটুকুই কথাবার্তা। এরপর বাড়ি ফিরে স্বামী দেখেন, স্ত্রী নেই। তার কিছু ক্ষণ পর একটা অচেনা নম্বর থেকে স্বামীর কাছে ফোন আসে। বলা হয়, ‘তোর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছি। লাশ পৌঁছে যাবে।’ ফোন পেয়েই মঙ্গলবার আতঙ্কে থানায় ছুটে যান গুড্ডু। পুলিশকে সবটা খুলে বলেন। শুরু হয় তদন্ত।
ভারতের কলকাতায় ঘটেছে এমন ঘটনা। ঘটনার দু’দিনের মাথায় বুধবার দুপুরে শিয়ালদহের একটি হোটেল থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। জালে পড়েন আরো এক যুবক। তার নাম রাম পারভেজ ওরফে শেখ দিওয়ান।
দু’জনের কাছ থেকে যা জানা যায়, তাতে পুলিশও হতবাক! স্বামী গুড্ডুকে বোকা বানিয়ে অন্য কারও সঙ্গে প্রেম করছিলেন ওই নারী। দু’জনে শিয়ালদহের এক হোটেলে লুকিয়ে ফোনে ভয় দেখাচ্ছিলেন গুড্ডুকে।
এর আগেও অবশ্য গুড্ডুকে বোকা বানিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। কিন্তু সে বার পুলিশের ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
এদিকে ফোনে খুনের হুমকি পেয়ে কড়েয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন গুড্ডু। অপহরণের অভিযোগে ওই নারীর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গুড্ডু পেশায় অটোচালক। রাম পারভেজ দিল্লির একটি বারে কর্মরত। কিছু দিন আগেই শহরে এসেছিলেন। প্রেমিকার সঙ্গে ফন্দি এটে শিয়ালদহের হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন তারা।