‘প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমার বসতঘরের সামনের রুমটি পুলিশ ক্যাম্প। আমার নিরাপত্তার জন্য চারজন পুলিশ থাকে। ঘরের লোকদের গোপনীয়তা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা বলতে কিছু আর নেই। পুলিশ ছাড়া কোথাও বের হওয়া যায় না। সামান্য বাজার করতে গেলেও সঙ্গে পুলিশ নিতে হয়। যেখানে হেঁটে যাওয়া যায়, সেখানে দুইটা রিকশা নিতে হয়। তাতে মাসে যাতায়াত খরচ হয় অন্তত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আমার এই যন্ত্রণা কে দেখবে?,’ এভাবেই নিজের দুর্বিষহ জীবনের কথা জানালেন দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার।
মাহবুবুল আলম হাওলাদার গত ১৩ দিন ধরে গণভবনের সামনে আছেন। উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে নিজের কষ্টের কথা জানানো। তিনি হার্টের রোগী, আছে ডায়াবেটিসও। অর্থকষ্টের কারণে প্রায় আটলাখ টাকা দেনা হয়ে গেছে তার অথচ উপার্জন বলতে সম্বল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে মাসিক ১২ হাজার টাকা। এমন অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। এলাকার নেতাদের সাথে কথা বলে কোন লাভ হয় নি তাই ১৩ দিন ধরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের আশায় বসে আছেন। মাহবুবুল আলমের একটাই প্রশ্ন, একজন রাজাকার কারাগারে আরামে বসে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছে কিন্তু এই মামলার বাদী হয়েও কেন তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না?