বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যার সাক্ষি ও মামলার সাত নম্বর আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এখন ঢাকায়। চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার কাজে ২২ সেপ্টেম্বর বাবা মোজাম্মেলের সাথে ঢাকা আসেন তিনি।
জানা গেছে, ঢাকায় যেখানেই যাচ্ছেন মিন্নি সেখানেই ভিড় জমে যায়। মিন্নির ছবি তুলতে থাকে জনতা।
সম্প্রতি মিন্নির বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরা হাস্যজ্জ্বল মিন্নিকে দেখা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন মিন্নি। সেখানে তাকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।
বিভিন্ন দোকানে ছড়িয়ে পড়ে বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার আসামি আয়সা সিদ্দিকা মিন্নি এসেছেন।
মিন্নি দেখতে অনেকেই দোকান ফেলে চলে আসেন। ছবি তোলেন কেউ কেউ। আর সেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তারা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মার্কেটে গিয়েছিলেন মিন্নি। এসময় নিজের জন্য জামা-কাপড় কেনেন। দোকানিরাও তাকে বিশেষ ছাড় দেন। এসময় বেশ হাসিখুশি দেখা গেছে তাকে।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আগে সব মানুষ আমার মেয়ের দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাতো। কিন্তু এখন দেখলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, তাকে সম্মান জানায়।
মিন্নির জামিন হওয়ার পর আর রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেই ভিডিও প্রকাশের পর পুরো চিত্র পাল্টে গেছে বলে জানান মিন্নির বাবা।
তিনি বলেন, মেয়েকে জামা-কাপড় কিনে দিলাম। দোকানদাররা খাওয়াতে চেয়েছে। দামে ডিসকাউন্ট দিয়েছে। আমার মেয়েকে এক নজর দেখতে পুরো মার্কেটের মানুষ একত্র হয়ে গিয়েছিল সেদিন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ শুধু জড়োই হয় না তার ছবিও তুলে। ছবি তোলার জন্য ভিড় সামলানো যায় না। আমি মনে করি এটা মানুষের সম্মান। এই সম্মানের মর্যাদা যেন আমার মেয়ে রাখতে পারে সেজন্য আমি দোয়াপ্রার্থী।
প্রসঙ্গত, বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দুই শর্তে জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। যে দুই শর্তে মিন্নিকে জামিন দেওয়া হয়েছে তা হলো, মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না এবং তাকে তার বাবার জিম্মায় থাকতে হবে।
২৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনে থাকা অবস্থায় মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললে তার জামিন বাতিল হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।