Home > জাতীয় > ক্যাসিনো কেলেংকারিতে ফেঁসে যাচ্ছেন ৫ এমপি!

ক্যাসিনো কেলেংকারিতে ফেঁসে যাচ্ছেন ৫ এমপি!

যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা ইসমাঈল হোসেন সম্রাটের ‘গুরু’ ও ‘সহযোগী’ খ্যাত বাংলাদেশি এমপিদের সিক্রেট মিশনের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে সরকারের একাধিক টিম ও সংস্থা। এরই মধ্যে তারা ঢাকায় রিপোর্টও পাঠানো শুরু করেছেন। তদন্ত সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে লাখ-কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। অবৈধ পথে আয় করা বিপুল পরিমাণ ওই অর্থ কতিপয় ব্যক্তির মনোরঞ্জন আর ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য বিদেশে পাচার করেছেন। এর একটি অংশ গেছে জুয়া, লটারি, ক্যাসিনোতে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, পাচারকারীদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। প্রতিনিয়ত তালিকায় নতুন নতুন নামের সংযোজন ঘটছে।

সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম,মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য, দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী, আমলা এবং তাদের সহযোগী ‘সম্রাট’দের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপসহ নানা পদেক্ষপ নেয়া হচ্ছে।

ক্যাসিনো-জুয়া খেলতে নিয়মিত সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় যাতায়াতকারী বিতর্কিত যুব নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ ৫ এমপি, ১০ ব্যবসায়ী, ৯ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবং সম্রাটের ৩ জন আত্মীয়ের বিদেশে থাকা অর্থ সম্পদ, বাড়ি-গাড়ির খোঁজে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দারা। চালু আছে- ঢাকায় সম্রাটের আগে যুবলীগের দায়িত্ব পালনকারী বর্তমানে বৃহত্তর বরিশালের এক এমপি সিঙ্গাপুরেও সম্রাটদের পথপ্রদর্শক! কিন্তু আজ কর্মগুণে এমপি ‘গুরু’কেও টপকে গেছেন শিষ্য ইসমাইল সম্রাট।

ওই এমপির জগত কেবল সিঙ্গাপুর হলেও ‘শিষ্য’ সম্রাটের নেটওয়ার্ক মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া হয়ে সুইজারল্যান্ড অবধি বিস্তৃত! ওইসব দেশেও তার বিপুল সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি অনুসন্ধানকারী সূত্রের। তাদের দাবি মতে, সিঙ্গাপুর কানেকশন রয়েছে- এমন ৫ এমপির মধ্যে ক্যাসিনোতে অর্থ উড়ানো ফেনীর একজন, কিশোরগঞ্জের একজন এবং বরিশালের দু’জন প্রভাবশালী তরুণ এমপির বিষয়ে তারা নিশ্চিত!

সুনামগঞ্জের একজন এমপির নামও তারা পেয়েছেন, যিনি এক সময় শেরাটনে সাপ্লাইয়ের ‘ব্যবসা’ করতেন। সিঙ্গাপুরে তিনি অর্থকড়ি সরিয়েছেন, নানা আড্ডায় সময় কাটিয়েছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে তার জুয়া বা ক্যাসিনো কানেকশনের প্রমাণাদি এখনো পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। দায়িত্বশীল সূত্র মতে, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে থাকা তথ্য মিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা পেয়েছেন কর্মকর্তারা।

এতে রাঘব বোয়ালদের নাম এলেও তাদের কাউকে ছাড় না দিতে সরকারপ্রধানের তরফে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে বলে সূত্র জানায়। সূত্র- দৈনিক ভোরের পাতা