Home > জাতীয় > সারাদেশ > বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা, বান্ধবীকে আসামি করে বাবার মামলা

বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা, বান্ধবীকে আসামি করে বাবার মামলা

রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় তার এক বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। রাজধানীর রামপুরা থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বুশরাসহ অজ্ঞাতনামাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ফারদিনের বাবা। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার দুই বন্ধু বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।

নিহত ফারদিন নূর পরশ রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। পরদিন তার বাবা নূরউদ্দিন রানা রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেন। পরে সন্তানের খোঁজ চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন নূরউদ্দিন রানা। সেখানে তিনি বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে শেষবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়। ওই দিন রাত পৌনে ১১টা থেকে ১১টার মধ্যে ফারদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। এরপর তার বুয়েটের হল কিংবা বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে ফেরেনি।

এদিকে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।