Home > জাতীয় > সারাদেশ > বিয়ের লোভে রাতে বাইরে স্কুলছাত্রী, দুই বন্ধুকে ফোনে ডাকে প্রেমিক

বিয়ের লোভে রাতে বাইরে স্কুলছাত্রী, দুই বন্ধুকে ফোনে ডাকে প্রেমিক

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রেমিকসহ তিনজনকে আসামি করেছে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।এই মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম আসাদুজ্জামান বাবু। এই ঘটনার তাকে ও তার ২ বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বিয়ের প্রলোভনে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই অভিযুক্ত প্রেমিক।

পরবর্তীতে মোবাইলে তার দুই বন্ধুকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে বাবু। এ সময় ধর্ষিতা দৌড়ে পাশের গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলছাত্রীর বাবা শ্যামনগর থানায় আসাদুজ্জামান বাবুসহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাবু উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে

এছাড়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের আটিরউপর গ্রামের আসাদুজ্জামান বাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবাররাত আনুমানিক ১২টার দিকে প্রেমিক বাবু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ কিশোরীকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। দুজনে দেখা করে কথা বলার একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে বাবু ঐ কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্ক শেষে একই গ্রামের লিয়াকত মল্লিকের ছেলে মেজবাহ উল ইসলাম (২২) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম (২১)কে ফোনে ডাকে বাবু।

পরবর্তীতে ধর্ষকের বন্ধুরা কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে কিশোরী প্রাণ ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন বাবু, তার বন্ধু মেজবাহ ও শাহীন কিশোরীকে ধরতে ধাওয়া করলে মে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী আব্দুল মাজেদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে মাজেদের সহযোগীতায় রবিবার ভোরে ঐ কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছায়। পরে বিষয়টি পরিবারকে অবগত করা হয়।শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহেদ মুর্শেদ এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।