Home > জাতীয় > সারাদেশ > দেশে ফিরেই বিয়ে, দুই মাস পর দেবরের সঙ্গে প্রেম

দেশে ফিরেই বিয়ে, দুই মাস পর দেবরের সঙ্গে প্রেম

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। নিহত নারীর নাম ফাতেমা আক্তার (৩৫)। গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সহবতপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ৬ দিন পর ঝুলন্ত অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত সমাজ মিয়ার ৩য় কন্যা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাতেমার বিয়ের কয়েক বছর পর সন্তান সহ ১ম স্বামী আলীম ফাতেমাকে তালাক দেয়। ফাতেমা সংসারের অভাবের তারনায় সৌদি পাড়ি দেন। টানা ৫ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে আসে। পরে ফাতেমা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মো. আরশেদ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া সাথে প্রথমে প্রেম, পরে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ২ মাস পর রুবেলের ছোট ভাই শামিমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ফাতেমা।

পরবর্তীতে তিনি রুবেলকে তালাক দিয়ে ছোট ভাই শামিমকে বিয়ে করে সাত মাস ধরে ঘর সংসার করে আসছিল। এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ফাতেমা। গত (২৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার স্বামীসহ ফাতেমা তার বাবার বাড়ি সহবতপুর আসেন। পরের দিন সকালে স্বামী শামিম ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ফাতেমাকে আর খোঁজে পান না। ফাতেমার বাড়ির লোকজন স্বামী শামীমকে চাপ সৃষ্টি করলে শামীম কোন কিছুর উত্তর না দিয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। নিহত ফাতেমার বাড়ির লোকজন শামীমের মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে শামীম নানা রকম কথাবার্তা বলে। নিখোঁজের ৬ দিন পর বাড়ির পাশ থেকে মাটি আনতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে ফাতেমার ঝুলান্ত লাশ দেখতে পান চাচাতো ভাবি পারুল।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) হাসান সরকার জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্ত জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।