কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা।
শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মসজিদের ৮টি দানবাক্স ৩ মাস ১ দিন পর শনিবার (০১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় খোলা হয়। এ সময় দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া ১৫ বস্তা টাকা দিনভর গণনা শেষে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।
মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ‘কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা’।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। এ সময় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়াও ১২ মার্চ পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। এ সময় রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। ওই সময় করোনার কারণে চার মাস ছয় দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়ে ছিল।