Home > জাতীয় > সারাদেশ > প্রেমের টানে আসা প্রেমিকাকে ১১ মাস পর ভারতে ফেরত

প্রেমের টানে আসা প্রেমিকাকে ১১ মাস পর ভারতে ফেরত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় এক যুবতী বাড়ি ফিরেছেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুর ১টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই তরুণীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে আসা প্রেমিকা ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুরের পরিতোষ সরকারের মেয়ে সাথী সরকার (১৮)।

প্রেমিক হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমার গাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিমের ছেলে ওমর আলী।

জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে অনলাইনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে সাথীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওমর আলীর। পরে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন সাথী। পরে একই দিন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়িতে যান তিনি। পরদিন কুষ্টিয়া আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করে। এ সময় তার নাম রাখা হয় সাথী খাতুন। পরে প্রেমিক ওমরকে বিয়ে করেন। এ অবস্থায় চলতি বছরের গত ২১ মার্চ রাতে বিষয়টি জানতে পেরে ওমর আলীর বাড়ি থেকে সাথীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। পরের দিন সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে সাথীর বয়স কম হওয়ায় কুষ্টিয়ার সামাজিক, প্রতিবন্ধী ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সেখানে ৬ মাস রাখা হয় তাকে।

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাইম জানান, সাথীকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনকে জানানো হয়। সেখান থেকে সাথীর বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সাথীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাথীকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনসোলার দেবব্রত চক্রবর্তী, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন। এ সময় ভারতের পক্ষে বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার এস এ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তেওয়ারি, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষসহ আরও অনেকে।