Home > অন্যান্য > খোলাবাজারে যেভাবে বিক্রি হবে খাদ্যশস্য

খোলাবাজারে যেভাবে বিক্রি হবে খাদ্যশস্য

ওএমএস এবং টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির প্রক্রিয়া জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সই করা পরিপত্রে বলা হয়, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিএফডিএস) আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেওয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীদের সমন্বয় করে খাদ্যশস্য বিতরণ করার লক্ষ্যে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো

১. ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের ২টি পৃথক লাইন করতে হবে। একটি লাইনে সাধারণ ক্রেতা এবং অপর লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন।

২. টিসিবির কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দিতে হবে। ডিলারের কাছে সংশ্লিষ্ট দিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পরে আসার অনুরোধ জানাতে হবে।

৩. টিসিবির কার্ডধারীরা ৫ কেজি করে মাসে ২ বার মোট ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। টিসিবির কার্ডধারীদের চাল দেওেয়ার পর ওএমএস ডিলাররা টিসিবির কার্ডের পেছনে নমুনা সীল/পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের ওপরে প্রতিবারের জন্য ১টি ছিদ্র করে দিবেন।

৪. জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করতে হবে। তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার বিক্রয়স্থলে দিনের বিক্রয়যোগ্য খাদ্যশস্যের বস্তা ও পরিমাণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়ে বিক্রয় আদেশ দেবেন।

৫. জনপ্রতি নির্ধারিত পরিমাণ চাল, আটা বিক্রয় ও বিক্রিত খাদশস্যের মাস্টার রোল ডিলাররা তৈরি করে সংরক্ষণ করবেন।

৬. ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্র সহজে চিহ্নিতকরণের জন্য দোকান অথবা ট্রাকে প্যানাফ্রেক্স (লাল রং) ব্যানার (৬ ফুট- ৩ ফুট) ঝুলাতে হবে এবং প্যানাফ্লেক্স (লাল রং) ব্যানারে মাথাপিছু সর্বোচ্চ কত কেজি চাল/আটা দেওয়া হবে এবং প্রতি কেজির মূল্য কত টাকা তা উল্লেখ থাকতে হবে।

৭. জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ওএমএস কমিটির সভা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সভা আয়োজনের পর লোকাল ক্যাবল টেলিভিশনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

৮. আগামী ১ সেপ্টেম্বর কর্মসূচির শুরুর প্রথম দিন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এক বা একাধিক কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবেন।

৯. প্রথম পর্যায়ে প্রচারের জন্য বিক্রয় কেন্দ্রের কমান্ড এরিয়াতে ঢোল ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ জানতে পারে

১০. আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

১১. প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ই-মেইলের মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় সম্পর্কিত তথ্য খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠাবে এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরের দিন সকাল ১০টার মধ্যে সব তথ্য সমন্বিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবশ্যিকভাবে পাঠানো নিশ্চিত করবেন।

১২. খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) নীতিমালা, ২০১৫ এর সব নির্দেশা ও  নিয়ামাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।