Home > খেলাধুলা > ধৈর্য, প্র্যাকটিস ও মানসিকতার জন্য ফল পাচ্ছি : লিটন

ধৈর্য, প্র্যাকটিস ও মানসিকতার জন্য ফল পাচ্ছি : লিটন

লিটন দাসের ব্যাটিং নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে গেল দুই বছর ধরে ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক এই ডানহাতি ব্যাটার। নিজের ব্যাটিংয়ে এই উন্নতির পেছনে ধৈর্য, প্র্যাকটিস মেডথ ও মানসিকতার পরির্বতনকে বড় কারণ হিসেবে মানছেন লিটন দাস।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় এই মুহুর্তে ৬ নম্বরে আছেন লিটন দাস। এই তলিকার শীর্ষ দশ তো দূরে থাক, প্রথম ত্রিশ জনের মধ্যে লিটন ছাড়া আর কোন বাংলাদেশির নাম নেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৭ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৫৮৯ রান নিয়ে বিশ্বের অনেক নামিদামি ব্যাটারদের পেছনে ফেলেছেন লিটন। অথচ বছর কয়েক আগেই ব্যাট হাতে লিটন ছিলেন ছন্নছড়া। কিভাবে এই পরিবর্তন? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন লিটন নিজেই।

চট্রগ্রাম টেস্টের পঞ্চমদিনের খেলা শুরু আগে এই প্রসঙ্গে লিটন বলেন, “পরিবর্তন বলতে আমি প্র্যাকটিস মেথডটা পাল্টেছি, বিশেষ করে এই ফরম্যাটের জন্য। নির্দিষ্ট কিছু প্র্যাকটিস করেছি এবং মানসিকতার পরিবর্তন তো অবশ্যই। আমার কাছে মনে হয়, নিজের ধৈর্য, প্র্যাকটিস এবং মানসিকতার জন্যই হয়তো এই ফল পাচ্ছি।”

মুশফিকুর রহিম উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সেই দায়িত্ব এসেছে লিটনের কাঁধেই। চট্রগ্রামের প্রচন্ড গরমে ১৫০ ওভারেরও বেশি সময় উইকিপিংয়ের কঠিন দায়িত্ব সামলে ব্যাট হাতে ৮৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন লিটন। উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলে অমন ইনিংস খেলা নিশ্চয়ই সহজ কিছু না।

লিটন জানান, “মনোযোগ তো সবসময়ই দিতে হয়। পরিশ্রমের জায়গাটাও অনেক। কারণ এই রকম কন্ডিশনে খেললে অলমোস্ট ১৬০ ওভার কিপিং করা, এই গরমে সেটা আলাদা একটা চ্যালেঞ্জ থাকে।”

তবে সব চ্যালেঞ্জ জয় করে দলের চাহিদামাফিক উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ভালো পারফর্ম করতে উদগ্রীব এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তিনি আরও বলেন, “তার (উইকেটকিপিংয়ের) পাশাপাশি আমার আরো একটা দায়িত্ব আছে। টিম আমার কাছে রান চায়। তো আমার কাছে মনে হয়, দুইটাই কষ্টকর। কিন্তু আমি যখন ব্যাটে যাই, আমার মনে হয় টিম আমার কাছে অনেক কিছু চায়। আমি চেষ্টা করি সেই জায়গা থেকে টিম কিছু দেওয়ার।”