Home > আন্তর্জাতিক > ‘রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস’

‘রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস’

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের জাইতমির শহরের কাছে এক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে। এই ভাণ্ডারে ইউক্রেন বাহিনীর অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ছিল।

 

 

 

শনিবার (২৬ মার্চ) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

 

 

 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কনাশেনকোভ বলেন, কৃষ্ণ সাগরের একটি নৌযান থেকে চারটি কালিবর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র শিল্প শহরের কাছে ডিপোতে আঘাত করে। পশ্চিম কিয়েভ থেকে এটি ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 

 

 

কনাশেনকোভ আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ১১৭ সামরিক লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ছয়টি কমান্ড পোস্ট এবং তিনটি বিমান রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।

 

 

 

এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ১০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

 

 

 

এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।