Home > অন্যান্য > দিনে যানজট, রাতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট রাজধানীবাসী

দিনে যানজট, রাতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট রাজধানীবাসী

দিনে যানজট আর রাতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট রাজধানীবাসী। পথের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে মশার উৎপাতে বিশ্রাম নেওয়াই দায়। উত্তর সিটির দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কর্মসূচি থাকে তাদের, নেওয়া হয় ক্র্যাশ প্রোগ্রামও। তবে নগরবাসীর অভিযোগ, কেবল মেয়র আর গণমাধ্যম দেখলেই ছেটানো হয় ওষুধ। বাকি সময় কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।

এ দিকে এডিস মশার দাপট কমলেও সে জায়গা ভালোভাবেই পূরণ করেছে কিউলেক্স। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী চলতি মার্চ মাসেই রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে দিনের আলোয় খালের পানিতে মশার সমাবেশই বলে দেয়, তাদের দাপটে কতটা কোণঠাসা এলাবাবাসী। খোলা জায়গা থেকে বাসা-অফিস সবখানেই মশার অবাধ বিচরণ। সবচেয়ে বিপদে শিশু আর বয়স্করা।

শুধু তাই নয় মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পায়নি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের রোগী, চিকিৎসক কেউই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো মশার কামড়ে নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় অনেকে। কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঝেমধ্যে ওষুধ ছেটানো হলেও তাতে কোনো কাজ হয় না।

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ডিরেক্টর মীর মোশারফ হোসেন বলছেন, অন্যান্য জায়গায় যদি দুদিন মশার ওষুধ ছেটানো হলেও আমাদের এখানে যেন সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন দেওয়া হয়।

এদিকে গত ১০ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়র আর গণমাধ্যমের ক্যামেরা থাকলেই কেবল ওষুধ ছেটানো হয়। বাকি সময় মশা মেরেই দিন পার করতে হয় তাদের।