এবারেই প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শে আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। এতে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আর নতুন নির্বাচন কমিশন ‘দেশবাসীর প্রত্যাশা’ পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন চারজন। তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনার ভালো মানুষ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। যদি তিনি চান।
তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আগামী নির্বাচন যাতে সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নতুন ইসিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন কর্মজীবনে প্রত্যেকেই অত্যন্ত দক্ষতা, সততা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা-দক্ষতা দেখিয়েছেন, ঠিক সেইভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতান্ত্রিক ধারবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে নতুন ইসি।