Home > আন্তর্জাতিক > রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : পোল্যান্ড সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষা বাংলাদেশিদের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : পোল্যান্ড সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষা বাংলাদেশিদের

পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষা সংস্থা জানাচ্ছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে। পোল্যান্ডে ঢুকতে চাওয়া বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ কারণ, সীমানা পাড়ি দিতে গিয়ে ইউক্রেনিয়ানরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বলে জানা গেছে৷

 

 

 

পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন জানিয়েছেন, অনেকে সীমান্ত এলাকায় এসে আবার ফেরত যাচ্ছেন৷

 

 

 

তিনি বলেন, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ তিনি জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা৷

 

 

 

তিনি আরও বলেন, আমরা ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করেছি৷ সেখান থেকে একটি ফোনকলের অপেক্ষায় আছি এখন। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর বারোটার দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা) তিনি এ তথ্য জানান৷

 

 

 

 

 

পোলিশ প্রান্তে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই বলে জানান রাষ্ট্রদূত সুলতানা৷ তিনি বলেন, পোলিশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে৷ স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশিকে ইউক্রেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডে আনা গেছে৷

 

তিনি বলেন, মোট সাতটি সীমানা পয়েন্ট দিয়ে ইউক্রেন থেকে মানুষ পোল্যান্ডে আসছেন।

 

 

 

তবে ইউক্রেন প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, অনেকে করেননি বলে জানান তিনি৷ দূতাবাসের আনুমানিক হিসেবে, ইউক্রেনে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার৷

 

 

 

তিনি বলেন, আমাদের একটি দল এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপেক্ষা করছে৷ আমরা তাদের থাকা, পরিবহণসহ সব ব্যবস্থাই করছি৷ তবে অনেকে আত্মীয় বা পরিচিতদের সঙ্গে থাকার জন্য চলে যাচ্ছেন।

 

 

 

এদিকে, বিবিসি তাদের সংবাদদাতার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষা সংস্থা জানাচ্ছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে যাওয়া মানুষের ঢল ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই এক লাখ ইউক্রেনীয় পোল্যান্ডে ঢুকেছে।

 

 

 

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে যারা পালাচ্ছেন, তাদের সকলকে আশ্রয় দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পোল্যান্ড সরকার। যাদের কোথাও যাওয়া জায়গা নেই, তাদের অস্থায়ী বাসস্থানের আশ্বাসও তারা দিয়েছে।

 

 

 

ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত পারাপারের আটটি চৌকির সবগুলো দিয়ে শরণার্থীদের পায়ে হেঁটে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে, কারণ সীমান্ত চৌকিগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। এর আগে পায়ে হেঁটে আসা মানুষদের শুধু একটি চৌকি, মেডিইকা দিয়ে পার হবার অনুমতি দেয়া হচ্ছিল।