Home > জাতীয় > সারাদেশ > যৌতুক না পেয়ে শ্বশুরের ধান পুড়িয়ে দিলেন জামাই

যৌতুক না পেয়ে শ্বশুরের ধান পুড়িয়ে দিলেন জামাই

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বরগুনার পাথরঘাটার কৃষকরা নিরাপদে ধান কেটে গোলায় তুলেছেন। ‘ধান হলেই ধনী’ এমন বাক্য প্রতিফলিত হচ্ছে এবার পাথরঘাটায়। সোনালী ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা। উপজেলাজুড়ে যখন ধান ভানার উৎসব চলছে, তখন শ্বশুরের উপরে ক্ষোভে বর্গা চাষের আহরিত ২৭৫ আঁটি প্রায় দেড় থেকে ২০০ মণ ধান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের বড় টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রাজীব মৃধা ইব্রাহিম ফরাজির মেয়ের জামাই। তিনি বরগুনার ইটবাড়িয়া এলাকার সোহরাব মৃধার ছেলে।

ইব্রাহিম ফরাজি বিডি২৪লাইভকে বলেন,যৌতুকের জন্য মেয়েকে মারধর করে এক মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাজীব। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে যেত সে। এ কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে কুলসুম আমার বাড়িতেই অবস্থান করে।

শনিবার রাতে আমার মেয়ের ফোনে ‘সকালেই তোর বাপের সবকিছু শেষ করে দিব, টের পাবি কাল’ এ রকমের একটি ম্যাসেজ পাঠায়। আমার সন্দেহ হয় যে, আমার জামাই রাজিব মৃধাই এ কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, নিজের কোনো জমি না থাকায় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বর্গা হিসেবে এনে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করি। শনিবার সব জমির ধান বাড়িতে আনা শেষ হয়েছে। আমার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আল মদিনা জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ইউসুফ আলী সরদার বলেন, আগুন দেখতে পেয়ে ইব্রাহিম ফরাজিকে ডেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার ধারণা ধানের আঁটির চারপাশে আগেই কুটা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বিডি২৪লাইভকে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের কারণে জামাই শ্বশুরের ধানের আঁটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ বিষয়ে জামাতা রাজিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।