Home > জাতীয় > সারাদেশ > মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়ে উন্নয়ন না করায় রংপুর সিটি বাজার বন্ধ ঘোষণা

মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়ে উন্নয়ন না করায় রংপুর সিটি বাজার বন্ধ ঘোষণা

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) মেয়র বাজারের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা না করায় নগরীর প্রধান সিটি বাজার বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে বাজারের সকল দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এভাবে দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী নেতারা।

রংপুর সিটি বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা, ড্রেন, বাথরুম, গেট, ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ইতিপূর্বে কয়েক দফায় সিটি মেয়রের দ্বারস্থ হয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে গত ৩১ মার্চ ২০২১ ইং তারিখে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সিটি বাজারে এসে ব্যবসায়ী কমিটিকে এসব দাবী পূরনে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি কোনো কাজ শুরু হয়নি। এ কারনে আজ ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে হঠাৎ মহানগরীর অন্যতম বাজার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে কথা হয় বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষক রফিক মিয়া সঙ্গে। তিনি কে বলেন, ‘এটি রংপুরের বৃহৎ বাজার। সব ধরণের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র মিলে এখানে।প্রতিদিনের ন্যায় আজ বাজার করতে এসে শুনি বাজার বন্ধ আজ।এর ফলে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে’।

বাজার করতে আসা এক সরকারি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,’ কখনও এ বাজার বন্ধ পাই নি।আজকেই প্রথম বন্ধ পেলাম।তবে ব্যবসায়ী সমিতির দাবি গুলো যুক্তিক।কেননা এতো বড় একটা বাজারের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা আসলে অনেক খারাপ।একটু বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে থাকতো’।

রংপুর সিটি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন ছোট বাবু বলেন, এই বাজারের উন্নয়নের জন্য আমরা বহুবার মেয়রের সাথে সাক্ষাৎ করেছি, আমাদের দাবিগুলো তিনি শুধুই শুনে গেছেন, এখন পর্যন্ত বাজারের উন্নয়নে কোনো কাজ করেননি। এখানে বৃষ্টির সামান্য পানিতে বাজার তলিয়ে যায়, দুর্গন্ধে বাজারে থাকা যায় না। অথচ এই বাজারটি নগরীর প্রধান এবং অন্যতম বাজার। যা সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিংয়ের সাথে সংযুক্ত। এখানে টয়লেট নেই, দরজা গেট কিছুই নেই। বর্তমানে এখানকার ব্যবসায়ীদের অসহায়ত্ব্যের শেষ নেই।