surjodigonto.com largest bangle news portal
কুষ্টিয়ার মিরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যা করেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাকিলাদহ সেন্টারপাড়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। কিশোরীর নাম নাজনীন নাহার মীম (১৪)। তিনি পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বিপুল মন্ডলের কন্যা এবং পোড়াদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। জানা যায়, আত্মহত্যার সময় মীম তার সৎ বাবা সোহেল রানার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয় যুবক সাইদুল জানান, ৭ বছর বয়সে মীমের বাবার সঙ্গে মা মিনারা খাতুনের ডিভোর্স হয়। পরে মীমের মায়ের বিয়ে হয় কাকিলাদহের সোহেল রানার সাথে। মীম তার নিজের বাবার বাড়িতেই বড় হয়েছে। এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মীমের বিয়ে হলেও কিছুদিন আগে এলাকার আরেকটি ছেলের সাথে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১দিন থাকার পরে বাড়ি ফিরে আসে। বাবার সাথে এ বিষয়ে মনোমালিন্যের কারনে শনিবার সকালে সৎ বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে সৎ বাবার বাড়িতে অবস্থানকালীন শনিবার বিকালে সে আত্মহত্যা করে।
মৃত কিশোরীর সৎ দাদী কোহিনুর খাতুন জানান, সকালে মিরপুর হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা নিয়ে মীম তাদের বাড়িতে আসে। এসময় সে দুপুরের খাবার খেয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। তার মা মিনারা খোঁজ নেয়ার জন্য দরজা বন্ধ পেয়ে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলতে না পেরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মীমকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসুয়া দিয়ে ওড়না কেটে নামানোর পরে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মরিয়ম বেগম জানান, আত্মহত্যাকারী মীমকে হাসপাতালে আনার পরে তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পরে পুলিশে খবর দিয়ে লাশ হস্তান্তর করেছি।
মিরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু সাঈদ জানান, হাসপাতাল থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা এসে লাশ গ্রহণ করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
