Home > রাজনীতি > জিয়ার কবর সরানোর পরিণতি ভয়াবহ হবে

জিয়ার কবর সরানোর পরিণতি ভয়াবহ হবে

বিএনপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

মঙ্গলবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মরদেহ, তার কবর এবং এমনকি মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান সম্পর্কে নির্মম, নিষ্ঠুর ও জঘন্য মিথ্যা প্রচার করছে। প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক মন্ত্রী শুধু জিয়ার বিরুদ্ধে ‘অসংলগ্ন’ মন্তব্য করছেন। তাদের একমাত্র কাজ হল মিথ্যা বলা, বিষ থুথু দেয়া, চরিত্র হনন করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা।’

যেসব মন্ত্রীদের জিয়ার বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করছেন, তাদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে প্রিন্স বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন? আমরা দৃঢ়়ভাবে বলতে চাই যে জিয়ার মৃতদেহ অপসারণের মতো সবচেয়ে খারাপ কাজটি করা হলে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তাদের হাত ভেঙে দেয়া হবে, চূর্ণ করা হবে এবং পুড়িয়ে ফেলা হবে।’

সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার সংসদ প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে দেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার নথিপত্রের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার জন্য জিয়াকে যে বীর উপাধি দেয়া হয়েছিল তাও বাতিল করা হবে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে আছে বিএনপিকে তা প্রমাণ করতে হবে এবং যদি প্রমাণিত হয় যে জিয়ার লাশ সেখানে আছে আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব।’

মন্ত্রীর এসব মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রিন্স বলেন, ‘তিনি জিয়ার কবর এবং ডিএনএ পরীক্ষা নিয়ে ‘শিষ্টাচারহীন’ মন্তব্য করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেই মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করে মুক্তিযোদ্ধাদের বদনাম করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা জিয়া সম্পর্কে মিথ্যা বলছেন এবং তার নেতৃত্বে গঠিত জেড ফোর্সের অসামান্য অবদানকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে। জাতি তাদের ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করবে।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যারা কলকাতায় বসবাস করতেন তাদের কাছ থেকে জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেয়ার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই তাকে সেই সনদ দিয়েছে। আমরা জিয়াউর রহমান, তার দেহ ও কবর সম্পর্কে মন্ত্রীদের অশালীন ও মিথ্যা মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।