Home > আন্তর্জাতিক > ইঞ্জেকশনে আর ব্যথা লাগবে না! ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার

ইঞ্জেকশনে আর ব্যথা লাগবে না! ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার

ইঞ্জেকশনের নাম শুনলেই কম-বেশি সকলেরই ভয় করে। এবার ভয় পাওয়ার দিন শেষ। কারণ পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর আইআইটি এমন এক ‘সুঁচ’ আবিষ্কার করেছে যা দিয়ে ইঞ্জেকশন দিলে খুব বেশি ব্যথা লাগবে না। সুঁচটির নাম মাইক্রো নিডল।

প্রকল্পটিকে আর্থিক সহায়তা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। এমনই এক সূচ খড়গপুর আইআইটি আবিষ্কার করেছেন যেটা চুলের চেয়েও সরু। মানুষের চুল যেখানে ৫০–৭০ মিলিমিটার ঘন, সেখানে এই সূচের ঘনত্ব মাত্র ৫৫ মিলিমিটার।

এর সঙ্গে মানানসই এক পাম্পও আবিষ্কার করে ফেলেছেন দেশটির অন্যতম সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক। সেটিকে তাঁরা বলছেন ‘মাইক্রো পাম্প’। এই উদ্ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন খড়গপুর আইআইটির ইলেকট্রনিক ও ইলেট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্য। যা করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও খুবই কার্যকর হবে।

ইনসুলিন কিংবা অন্যান্য অসুখের ড্রাগও এই বিশেষ ইঞ্জেকশন দ্বারা নেওয়া সম্ভব। গবেষকরা জানান, এটা এক ধরনের প্যাচ এটি, অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো, যা ত্বকের উপরে লাগিয়ে দিলেই ড্রাগ শরীরে প্রবেশ করবে। প্যাচটিতে প্রায় ১০০টি নিডল রয়েছে, কিন্তু তা চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম।

ফলে সেনসারি নার্ভকেও ছুঁতে পারে না, ব্যথাও অনুভূত হয় না। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ট্রান্সডার্মাল অর্থাৎ চামড়ার এপার থেকে ওপারে ওষুধ সরবরাহের ব্যথাহীন উপায় খুবই জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত।

প্রাণীদেহে মাইক্রো নিডলটির প্রয়োগ সফল, এখন মানব শরীরে ট্রায়াল সম্পন্ন হলেই বাজারে আসবে।গবেষকরা ইতিমধ্যে এটির পেটেন্টের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের এই সাফল্যের কথা নেচার জার্নাল ও আইইইই–তে প্রকাশিত হয়েছে।