মোংলা বন্দরের প্রবেশমুখে হিরণ পয়েন্ট এলাকায় একটি গ্যাসবাহী বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের ষ্টোর রুম ভেঙ্গে শুক্রবার ভোরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর বিদেশী ওই জাহাজের চীফ অফিসার বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘সি এশিয়াথর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আকরাম হোসেনকে জানিয়েছেন। এরপর তিনি (আকরাম হোসেন) চুরির ঘটনাটি বন্দর কতর্ৃপক্ষের হারবার মাষ্টারকে অবহিত করেছেন।
এমভি সিনা-০৫ নামক জাহাজটি বন্দরে গ্যাস ডেলিভারী দেওয়ার জন্য হিরণ পয়েন্টে অপেক্ষা করছিল। শুক্রবার ভোরে একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী দল ওই জাহাজে উঠে ষ্টোর ভেঙ্গে ৫টি মুরিংরোপসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। পণ্য খালাসের জন্য শুক্রবার বিকেলে মোংলা বন্দরের একটি এলপিজি কারখানায় জাহাজটি ভিড়ার কথা ছিল।
বন্দরের এই প্রবেশ মুখে প্রায়ই এ রকম চুরির ঘটনা ঘটে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত ৭ জুন তেলবাহী জাহাজ এম,টি ট্রেসা থেকে ৭টি মুরিংরোপ একই ভাবে চুরি করে নেয় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা। ওই ঘটনায় জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ষ্ট্রারপাত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম ৮ জুন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও হারবার মাষ্টারকে চিঠি দিয়ে ঘটনাটি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। তবে সে ব্যাপারে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানাতে পারেননি ক্যাপ্টেন রফিক।
এম,ভি সিনা-০৫ জাহাজের চুরির ঘটনায়ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এজেন্টের এমডি মোঃ আকরাম হোসেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, মোংলা বন্দরে আগত বিদেশী জাহাজের পণ্য ঠিক একই কায়দায় চুরি/ডাকাতি করার জন্য একটি শক্তিশালী চক্রের নিয়ন্ত্রণে পৌর শহরের রিজেকশন গলি ও শহরতলীর কাইনমারী-বাইদ্দাপাড়া এবং গোগ এলাকায় অন্তত ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপকে শেল্টার দেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, চুরির ঘটনাস্থল মোংলা থেকে ১৩০/১৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এছাড়া ঘটনাস্থলও খুলনা জেলার দাকোপ থানার অধীনে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কতর্ৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার এম ফখরউদ্দিন বলেন, জাহাজটির ক্যাপ্টেনের সাথে কথা বলে মুরিংরোপ চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তারপর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।