Home > বিশেষ সংবাদ > ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্য ডিজির গ্রেফতার চেয়ে নোটিশ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্য ডিজির গ্রেফতার চেয়ে নোটিশ

সদ্য পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং রিজেন্ট হাসপাতালকে অবৈধভাবে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়ায় গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকে (আইজিপি) শুক্রবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এস এম জুলফিকার আলী জুনু ইমেইল এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠান। আইনজীবী নিজেই নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২১ জুলাই সমালোচনার মুখে থাকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেন। সেদিন তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর ২৩ জুলাই তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইদিন অধিদফতরের নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা দেখে এটাই প্রমাণিত যে, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এত চরমে পৌঁছেছে যে, অধিকাংশ কোভিড হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজির আর্শিবাদপুষ্টদের কাছে করোনা যেন আর্শিবাদরূপে আবির্ভাব হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, মাস্ক, ওষুধ সরবরাহ দিয়ে শুরু বলা যায়।

বলা হয়েছে, এসব অনিয়ম কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কি আদৌ আছে? করোনাকালেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রীর কেনাকাটায় দুর্নীতি চরমে। এর দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পদত্যাগকারী সাবেক ডিজি এড়াতে পারেন না। করোনা মহামারির এই সংকটকালে পুরো জাতি যখন ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন, যখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, যখন সরকারি হিসেব মতেই গড়ে দৈনিক প্রায় ৪০ জন করে করোনা রোগী মারা যাচ্ছেন তখন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। তাই স্বাস্থ্যখাতের জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির দায় অবশ্যই সদ্য পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে বহন করতে হবে। জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা এবং রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষরের দায় অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতরকেই নিতে হবে।

অতএব, আপনাদেরকে অত্র লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি অনিয়মের ও প্রতারক সাহেদকে অবৈধ সুযোগ প্রদানের দায়ে সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি আবুল কালামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানপূর্বক ফৌজদারি কার্যবিধির সুনির্দিষ্ট বিধান মতে নোটিশ গ্রহীতার পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। অন্যথায় জনস্বার্থে যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হবে।