Home > বিশেষ সংবাদ > বদলি কোনও শাস্তি নয়, অনিয়মে জড়িত থাকলেই বরখাস্ত’

বদলি কোনও শাস্তি নয়, অনিয়মে জড়িত থাকলেই বরখাস্ত’

বদলি কোনো শাস্তি নয়, দেশের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকলে বরখাস্ত অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগ ও দফতরের বাস্তবায়নাধীন ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা নিয়ে অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

একই সঙ্গে সব প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি।

উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই মানসম্পন্ন, টেকসই ও উৎপাদনশীল হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিম্নমানের কাজে জড়িত থাকবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, মন্দ কাজের জন্য যেমন তিরস্কার বা বরখাস্তের ব্যবস্থা থাকবে তেমনি ভালো কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে পুরস্কৃতও করা হবে । করোনা সংকটে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলীরা যদি কোনো বাধা বা হুমকির সম্মুখীন হন তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নেবে বলেও জানান তিনি।

গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক এবং উপজেলা সড়ক নির্মাণে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনসহ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন তৈরি করে সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া ছোট-বড় যেকোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে নেভিগেশন, পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

গ্রামীণ সামাজিক অবস্থার উন্নতি, গ্রামীণ অর্থনীতির গতি সঞ্চার এবং মানুষকে উন্নত জীবন দিতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল ওয়াসা, সকল সিটি করপোরেশন, এনআইএলজি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২৫৬টি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জুন পর্যন্ত অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৪৯ ভাগ। যা গত বছর ছিলো ৯৫ দশমিক ৪২ ভাগ। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রকল্প কাজের মৌসুম হলেও করোনা মহামারির কারণে কাজ বন্ধ থাকায় এবছর কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হয়েছে।