Home > অন্যান্য > জাতিসংঘের কাছে সীমান্তে হত্যার দৃশ্য তুলে ধরলেন বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মী আরিফ

জাতিসংঘের কাছে সীমান্তে হত্যার দৃশ্য তুলে ধরলেন বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মী আরিফ

 

জাতিসংঘের ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ জুন) আয়োজিত হয় ‘ইউএন সেভেন্টি ফাইভ চার্টার ডায়লগ রুপরটিউরস’। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো সময় সকাল ৭ টায় অনলাইনে আয়োজিত হয় এই কনফারেন্স।

জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে এতে অংশ নেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতিসংঘ, ইউনেস্কো, ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউএন মিশন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, ইউএনএফপিএ, ইউএনওসি প্রতিনিধি দলের উচ্চপদস্থ অফিসারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলোচিত শিশু অধিকারকর্মী ও সমাজকর্মী।

আয়োজনে আরও অংশ নেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এমপি, মন্ত্রীসহ জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের অফিসারগণ। তরুণ প্রজন্মের মুখে জাতিসংঘের সাফল্য, ব্যর্থতা ও আগামী ২৫ বছরে কি কি কাজ করা উচিৎ তা শুনেছেন সবাই মনোযোগ সহকারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে শিশু অধিকারকর্মী আরিফ রহমান শিবলী যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ টুডে’কে বলেন, জীবনের অন্যতম স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটালাম।

জানা গেছে, জাতিসংঘের এই আয়োজনটি নিউইয়র্ক হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে অনলাইনে করা হয়। এতে উপস্থাপনা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক ‘ফেডর অবচিনিকভ’। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মীর রাখা বক্তব্য ‘দি বাংলাদেশ টুডে’র পাঠকদের জন্য বাংলায় তুলে ধরা হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম, পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জাতিসংঘের মহাসচিব আনতেনিও গুতেরেস, রাছেল বোয়েন পিটম্যান নির্বাহী পরিচালক ইউএনএ-ইউএসএ ও জাতিসংঘের ‘ইউএন সেভেন্টি ফাইভ চার্টার ডায়লগ রুপরটিউরস’ টিমের সবাইকে।

আজকের দিনটি খুবই সম্মানের যেখানে আমি ‘ইউএন সেভেন্টি ফাইভ চার্টার ডায়লগ রুপরটিউরস’ অনলাইনে এই বড় আয়োজনে অংশ নিতে পেরেছি। এইখানে সম্মানিত মানুষদের পেয়ে সত্যিই আনন্দের পাশাপাশি গর্বিত। একশো’র বেশী মানবাধিকার-কর্মী, সমাজকর্মী যারা শুধু মানবাধিকারের কথাই বলেনা, যারা লড়ে যাচ্ছে শিক্ষা, শান্তি, বৈষম্য নিয়ে।

হাজারের উপর হত্যা, অত্যাচার স্বীকার হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অধিকার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে। হ্যা! তারমধ্যে আমি অন্যতম। এইজন্যই আমি এইখানে।

একজন শিশু অধিকারকর্মী ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আমি নিজের জন্য নয়, কথা বলি ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে। যারা নিজেদের কথা বলতে পারেনা, যাদের কথা কেউ শুনেনা।

আজ আমি কথা বলবো বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত নিয়ে। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হত্যার স্বীকার হচ্ছেন। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের। এই কাজগুলো খুবই অমানবিক। বিশ্বে অসংখ্য সীমান্ত আছে তারমধ্যে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন, আমেরিকা -মেক্সিকো, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত।