Home > বিশেষ সংবাদ > চাকরির বয়স বিবেচনার প্রস্তাব যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

চাকরির বয়স বিবেচনার প্রস্তাব যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যাদের সরকারি চাকরির বয়স পার হয়েছে, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সময়মতো সেই প্রস্তাব সরকারপ্রধানের কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলছেন, “ভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে যারা চাকরির বয়স হারিয়েছেন তাদেরকে জন্য কী করা যায়, আমরা সেই চিন্তা করছি।”

সাধারণ প্রার্থীরা ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আবেদন করতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য বয়স শিথিল করা হলে তা বিজ্ঞপ্তিতেই বলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তার আগে গত ডিসেম্বর থেকে চাকরিতে নিয়োগের নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কমিশন।

তবে ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে নন-ক্যাডারে বেশ কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি; সেখানে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে গত ১ জুন পর্যন্ত।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বুধবার বলেন, “যারা ২৬ মার্চের আগে আবেদন করেছেন তাদের পরীক্ষা যত দেরিতেই হোক না কেন কোনো সমস্যা নেই। দুই বছর পরে পরীক্ষা হলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই।

ভাইরাস সঙ্কট: চাকরির বয়স বিবেচনার আশ্বাস

“একটা শ্রেণি আছে যারা এরমধ্যে চাকরির বয়স হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। এই সঙ্কটের মধ্যে সবাইকেই তো কিছু কিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। যারা চাকরির বয়সটা হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য একটা কিছু করা যায় কি না, আমরা সেই চেষ্টা করছি।”

এই মহামারীর মধ্যে যাদের সরকারি চাকরির বয়স চলে গেছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে তাদের ক্ষেত্রে কী হতে পারে সে বিষয়েও একটা ধারণা দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।