Home > বিশেষ সংবাদ > ৩০শে জুনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল

৩০শে জুনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল


অবশেষে মন্ত্রিসভার কাঙ্ক্ষিত রদবদল হতেই যাচ্ছে। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ৩০শে জুন বাজেট অধিবেশনের পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। অবশ্য কোন কোন সূত্র বলছে যে, ৩০শে জুনের আগেও কোন কোন মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ৩০শে জুন যেহেতু জাতীয় সংসদে বাজেট পাশ হবে, এর পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হবে।

সরকারের একাধিক সূত্র বলছে যে, কিছু বাস্তবতার কারণে মন্ত্রিসভায় রদবদল এখন অত্যন্ত জরুরী হয়ে গেছে। প্রথমত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেছেন। সামনে হজ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এজন্য এই মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত করা জরুরী হয়ে গেছে।

এছাড়াও কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনা দরকার। এখন করোনা সংক্রমণের কারণে এক মন্ত্রণালয়ে একাধিক মন্ত্রী নিযুক্ত করার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত মন্ত্রণালয়গুলো স্তিমিত এবং করোনা মোকাবেলায় কাঙ্ক্ষিত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না, সেই সমস্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে পরিবর্তন অথবা প্রতিমন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও দুজন মন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে, যারা সফলভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে পদোন্নতি হতে পারে। তবে কোন মন্ত্রী বাদ পড়বেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, মন্ত্রিসভায় থেকে কাউকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো সঙ্কটকালীন সময়ে কাউকে বাদ দেন না। কারণ এর ফলে এই সময়ে দুই ধরণের সঙ্কট দেখা দিবে। প্রথমত সরকারকে নিয়ে কোন কোন মহল অযাচিতভাবে সমালোচনা করবে, তাঁরা বলবে যে সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী সকলকে সুযোগ দিতে চান। যারা ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদেরকে শুধরে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে চান। এই বাস্তবতায় মন্ত্রিসভায় রদবদল হলেও কোন মন্ত্রী বাদ পড়বেন এমনটি মনে করছেন না আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তবে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বর্তমান মন্ত্রিসভায় এর আগে যেভাবে রদবদল করা হয়েছিল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে শ ম রেজাউল করিমকে যেভাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ঠিক একইভাবে হয়তো মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনা হতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভায় কয়েকজন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যর্থতার অভিযোগ দলের মধ্যেও এসেছে। সেই বাস্তবতায় এবারের মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে সামনে যে কঠিন সময়গুলো মোকাবেলা করতে হবে, সেসময় আমলাতান্ত্রিক বা হাইব্রিড নেতাদেরকে মন্ত্রী বানানোর চেয়ে যারা সত্যিকারে জনগণের সঙ্গে মিলে কাজ করতে পারবেন এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন তাঁদেরকে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। তবে এই মন্ত্রিসভায় রদবদলে দলের হেভিওয়েট নেতারা আসবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে আভাস পাওয়া গেছে যে, মন্ত্রিসভার রদবদলে দলের হেভিওয়েট নেতাদের অন্তভূর্ক্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।