Home > জাতীয় > সারাদেশ > অনুমতি ছাড়া চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি! ইনচার্জসহ চার পুলিশ ক্লোজড

অনুমতি ছাড়া চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি! ইনচার্জসহ চার পুলিশ ক্লোজড

উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রাস্তায় চেকপোস্ট বসানোর অপরাধে সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুন্সি আনিসুর রহমানসহ চারজনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। গত রোববার রাতে প্রশাসনিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

পুলিশ লাইনে ক্লোজ হওয়া সদস্যরা হলেন, ক্যাম্পের এএসআই সাজদার রহমান, এএসআই সুমারেশ সাহা ও কনস্টেবল ফারুক হোসেন।
অপরদিকে ওই ক্যাম্পে নতুন ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন এসআই কামরুজ্জামান।

এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, এই ক্যাম্প থেকে রোববার রাতে প্রশাসনিক কারণে ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার আদেশ দিয়েছেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। একই আদেশে আমাকে (এসআই কামরুজ্জামান) সাজিয়ালি ক্যাম্পের বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই ব্যাপারে সাজিয়ালি ক্যাম্পের সদ্য সাবেক ইনচার্জ এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান বলেছেন, ক্যাম্পের দুই এএসআই সাজদার রহমান ও সুমারেশ সাহা এবং কনস্টেবল ফারুকের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে ইমরান হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন এবং ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তবে ঘটনার দিন আমি (এসআই আনিসুর) জরুরী কাজে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ছিলাম। তারপরও ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে ওই দুইজন এএসআই ও কনস্টেবলের সাথে আমাকেও পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, করোনাকালে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে রাস্তায় চেকপোস্ট বসানোর কারণে সাজিয়ালি ক্যাম্পের ইনচার্জসহ চারজনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

তবে এলাকাবাসির ধারণা কলেজছাত্র ইমরান হোসেনকে গাঁজাসহ আটকের পর নির্যাতন এবং ৬ হাজার টাকা ঘুষ বানিজ্যের ওঠে এএসআই সাজদার রহমান, এএসআই সুমারেশ সাহা এবং কনস্টেবল ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে। সে কারণে এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে ডিএসবির ডিআইওয়ান মশিউর রহমান এবং কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ তিনজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার পর কলেজ ছাত্র ইমরানকে নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিকে রাস্তায় চেকপোস্ট বসানোর অপরাধে ওই চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য আটক হওয়া ইমরান হোসেন সদর উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের নিকার আলীর ছেলে।

গত ৩ জুন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ধাওয়া করে সাজিয়ালী ক্যাম্পের এএসআই সুমারেশ সাহা ও এএসআই সাজদার রহমানের নেতৃত্বে ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে ইমরান হোসেনকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। আর ওই নির্যাতনে তার দু’টি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করে।

তদন্তে ওই ছাত্রকে পুলিশি নির্যাতনের কোন সত্যতা পাননি। তবে গাঁজাসহ আটকের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি সত্যতা আছে বলে জানা গেছে।