Home > অন্যান্য > সিকদার পরিবারের ‘অজানা সাম্রাজ্য’

সিকদার পরিবারের ‘অজানা সাম্রাজ্য’

অবৈধভাবে ঋণ দিতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অতিরিক্ত এমডিকে গুলি এবং আটক করে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় আসেন সিকদার পরিবারের দুই ভাই। আকাশ পথ যখন সম্পূর্ণ বন্ধ, তখন অনেকটা সিনেমার স্টাইলে রোগী সেজে ব্যক্তিগত এয়ার এম্বুলেন্সে দেশ ছাড়েন রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার। এবার বিদেশে তাদের বিশাল সাম্রাজ্যের খোঁজ মিলেছে, দেশে গড়া সম্পদের পাহাড়ও সেই তুলনায় নস্যি।

দেশে ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, হোটেল, পর্যটন, এভিয়েশনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা আছে এই পরিবারের। এগুলো অনেকেরই জানা। কিন্তু বিদেশে তারা যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সেটাকে অজানাই বলতে হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে কার্যক্রম শুরু করে কয়ি রিসোর্ট অ্যান্ড রেসিডেন্স। যেটি পরিচালনা করছে বিশ্বখ্যাত হিলটন কর্তৃপক্ষ। বিনিয়োগের বিপরীতে নাগরিকত্ব সুবিধার আওতায় ৫৩ হাজার জনসংখ্যার দেশটিতে এ চার তারকা হোটেল গড়ে তোলা হয়েছে। এই কয়ি রিসোর্টের কর্ণধার বাংলাদেশের সিকদার পরিবার।

এই গ্রুপের মালিকানাধীন বিশ্বখ্যাত কয়ি রেস্টুরেন্ট আছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, লাসভেগাস, আবুধাবি ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। শুধু কি তাই, বিশ্বের ৪৩টি দেশের ৩ হাজার ৮০০ ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁর মালিকানা এই পরিবারের হাতে!

এতো গেল মাত্র রেস্তোরাঁর কথা। যুুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে তাদের বিশাল আবাসন ব্যবসা। থাইল্যান্ডের পাতায়ায় রয়েছে ১৪টি বিশেষ ধরনের স্বতন্ত্র ভিলা ও সমুদ্রসৈকতে তৈরি বাড়ি। আর সুইজারল্যান্ডে রীতিমতো একটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে এই পরিবারের মালিকানায়। সবমিলিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় হাজার খানেক কোম্পানির মালিক সিকদার পরিবার।